আর একটিও না কেটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ হাজার গাছ রোপণের দাবি
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটার প্রতিবাদ চলছেই। আজ শুক্রবার দিনভর বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে কবি, লেখক, সাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী ও পরিবেশবাদী সংগঠন।
উদ্যানের বিভিন্ন প্রবেশ মুখে কবিতা, গান ও পথনাটকের মাধ্যমে এসব প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা অবিলম্বে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধ করে ১০ হাজার গাছ রোপণেরও দাবি জানান। উদ্যানকে ঢাকার ফুসফুস হিসেবে উল্লেখ করে এটি রক্ষায় সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তারা।
সকালে উদ্যানের টিএসসি সংলগ্ন প্রবেশমুখে সমাবেশ করে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েস। সমাবেশে সংগঠনটির পক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সবুজ ধ্বংস করে রেস্টুরেন্ট নির্মাণ বন্ধ করা, উদ্যানকে বৃক্ষময় করা, পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করাসহ পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়।
বিকাল ৩টায় গাছ কাটার নানা ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে পথনাটক পরিবেশন করে নোঙর বাংলাদেশ, স্বাধীনতা উদ্যান সাংস্কৃতিক জোট ও গ্রিন প্ল্যানেট নামের সংগঠন।
এসময় গণ সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের যুগ্ম-আহবায়ক জাকির হোসেন বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঢাকার ফুসফুস। এই শহরে যত মানুষ বাস করে সেই তুলনায় এই ফুসফুস কিছুই না। দুর্ভাগ্য এই ফুসফুসকে কেটে ফেলতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’
এটাকে পুঁজিবাদী উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আমাদের কাছে ফুসফুস আর পুঁজিবাদীদের কাছে তা ব্যবসা। পুঁজিবাদ সব দিক থেকে পরিবেশকে ধ্বংস করে ফেলছে। পাহাড় কেটে ভবন বানাচ্ছে, গাছ কেটে বানাচ্ছে রেস্তোরাঁ। এটা মর্মান্তিক। কোনোভাবেই গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস করা যাবে না।’
উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কেটে খাবারের দোকানের জন্য কয়েকটি ভবন তৈরি হচ্ছে। সেখানে পরিকল্পিত রাস্তা তৈরির জন্য ইতোমধ্যে অনেকগুলো অর্ধশত বছর বয়সী গাছ কাটা হয়েছে। এরপর থেকে পরিবেশবাদী, সচেতন মানুষ, ছাত্র-শিক্ষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগঠনের তোপের মুখে পড়েছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন:
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধে আইনি নোটিশ
Comments