সকালেও যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া ছেড়েছে ফেরি, পাটুরিয়ায় অপেক্ষায় হাজারো মানুষ

করোনা সংক্রমণের রাশ টানতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দিনে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও ঘরমুখী মানুষের ঢল বন্ধ হয়নি। আজ শনিবার ভোর থেকে ঘরমুখী মানুষ শিমুলিয়া ঘাটে জড়ো হতে শুরু করেন।
Shimulia1_8May21.jpg
আজ শনিবার সকালে শিমুলিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় আছেন শতশত ঘরমুখী মানুষ। ছবিটি আজ সকাল ৮টায় তোলা। ছবি: স্টার

করোনা সংক্রমণের রাশ টানতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দিনে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও ঘরমুখী মানুষের ঢল বন্ধ হয়নি। আজ শনিবার ভোর থেকে ঘরমুখী মানুষ শিমুলিয়া ঘাটে জড়ো হতে শুরু করেন।

আজ শনিবার সকালে বাংলাবাজার থেকে ফেরি কুঞ্জলতা অ্যাম্বুলেন্স বহন করে শিমুলিয়াঘাটে আসে। অ্যাম্বুলেন্স নামার সময় শত শত যাত্রী ফেরিতে উঠে পড়েন। ছবিটি আজ সকাল ৯টায় তোলা। ছবি: স্টার

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ৩ ও ২ নম্বর টার্মিনালে শতাধিক মানুষকে নদী পারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। প্রবেশপথগুলোতে গাড়ি আটকে দেওয়ায় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটেই তারা শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাংলাবাজার থেকে ফেরি কুঞ্জলতা অ্যাম্বুলেন্স বহন করে শিমুলিয়াঘাটে আসে। অ্যাম্বুলেন্স নামার সময় শত শত যাত্রী ফেরিতে উঠে পড়েন। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফেরিটি বাংলাবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

আজ শনিবার সকালে পাটুরিয়া ঘাটে কেরামত আলী নামে নোঙর করে রাখা একটি ফেরিতে যাত্রীরা জোর করে উঠে পড়েছিলেন, পরে পুলিশ তাদের নামিয়ে দেয়। ছবিটি আজ সকাল সোয়া ১১টায় তোলা। ছবি: স্টার

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বিআইডব্লিউটিসির এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছিল যে ফেরি ছাড়ার অনুমতি না দিয়ে উপায় ছিল না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘নির্দেশনা মেনে মাঝ পদ্মায় কয়েকটি ফেরি নোঙর করে রাখা হয়েছে। ঘাট এলাকায় শত শত মানুষ পারের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের পার না করে কীভাবে অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের মতো জরুরি সেবা দেওয়া যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি।

সকাল থেকে পাটুরিয়া ঘাটের চিত্রও একই রকম। ঢাকার ভেতরে গণপরিবহন এবং সাভারের নবীনগর থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত মিনিবাস চালু থাকায় ভোর থেকে ঘরমুখী মানুষ পাটুরিয়া ঘাটে আসতে শুরু করেন।

সকাল পর্যন্ত এক হাজারের বেশি যাত্রী এবং বেশ কিছু ছোট গাড়ি ঘাটে আটকা পড়ে। বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গণপরিবহন চালু থাকায় যাত্রীরা ঘাটে আসছেন। কিন্তু আমরা দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছি। রাতে জরুরি প্রয়োজনে আসা যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স ও পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সকালে কেরামত আলী নামে নোঙর করে রাখা একটি ফেরিতে যাত্রীরা জোর করে উঠে পড়েছিলেন, পরে পুলিশ তাদের নামিয়ে দেয়।’

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে গতকালও ঘরমুখী মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

আরও পড়ুন

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে পদ্মা পার হচ্ছেন হাজারো যাত্রী

পাটুরিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago