দিল্লিতে সংক্রমণ কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ
ভারতের দিল্লিতে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের হার গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় পাঁচ শতাংশ কমেছে।
হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, করোনা মহামারি প্রতিরোধে যখন প্রশাসন ও দিল্লির মানুষ এক প্রকারে বিধ্বস্ত তখন সংক্রমণের হার কমার এই খবর মানুষের মনে আশার আলো সঞ্চার করেছে।
দিল্লিতে লকডাউন শুরুর দুই সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, এই উদ্যোগটি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করেছে। যদিও তারা সতর্ক করেছে যে, জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে সংক্রমণ আবারও বাড়তে পারে।
গতকাল শুক্রবার করোনা পজিটিভ ফলাফলের হার ছিল ২৪ দশমিক নয় শতাংশ। এ নিয়ে টানা দুদিন সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশের নিচে রয়েছে।
সরকারের স্বাস্থ্য বুলেটিনের তথ্য মতে, গতকাল দিল্লিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৮৩২ জন এবং মারা গেছেনে ৩৪১ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৭ জন এবং মারা গেছে ১৮ হাজার ৭৩৯ জন।
গত সপ্তাহে পরীক্ষার বিপরীতে পজিটিভ ফলাফলের হার ছিল ২৭ দশমিক চার শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে এই হার ছিল ৩২ দশমিক পাঁচ শতাংশ।
ভেলোরের খ্রিস্টান মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক প্রধান ডা. জ্যাকব জোন বলেন, ‘পজিটিভ ফলাফলের হার কমে যাওয়া সংকেত দেয় যে, দিল্লি সংক্রমণের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। লকডাউনের কারণে এই হার কমছে কি না আমরা নিশ্চিতভাবে জানতে পারিনি। কোনো সংক্রমণ কমে আসার আগে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে এটি রোগের প্রাকৃতিক অগ্রগতি হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউন যদি যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হয় তবে সংক্রমণ প্রতিরোধ করবে। এতে করে হাসপাতালগুলো একটু হালকা হবে এবং রোগীদের শয্যা, অক্সিজেন, ওষুধ ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে পারবে।’
চলাচল বেড়ে গেলে আবার সংক্রমণের হাড় বেড়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘লকডাউন তুলে নিলে কোভিড-১৯ এর মতো বায়ুবাহিত রোগের সংক্রমণ আবারও ছড়িয়ে পড়তে পারে। লকডাউনের পরে সরকারকে ১০০ শতাংশ মাস্ক পরার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’
বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের সংক্রামক রোগ কেন্দ্রের সহযোগী অধ্যাপক ডা. অমিত সিং বলেন, ‘সংক্রমণ প্রতিরোধে একটি কঠোর লকডাউনের প্রয়োজন। তবে, আমরা সংক্রমণ শেষ হওয়া পর্যন্ত লকডাউন চালিয়ে যেতে পারবো না। তাই লকডাউন তুলে নেওয়ার আগে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন:
Comments