উয়েফার হুমকির প্রতিবাদ জানাল বার্সেলোনা-রিয়াল-জুভেন্টাস

ইউরোপিয়ান সুপার লিগের সঙ্গে রয়ে যাওয়া তিনটি ক্লাবকে শাস্তির হুমকি দিয়ে আগের দিনই বিবৃতি দিয়েছে ইউরোপ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। তবে হুমকি পাত্তাই দিচ্ছে না থেকে যাওয়া তিনটি ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস। যৌথ বিবৃতি দিয়ে উল্টো উয়েফার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।
ছবি: টুইটার

ইউরোপিয়ান সুপার লিগের সঙ্গে রয়ে যাওয়া তিনটি ক্লাবকে শাস্তির হুমকি দিয়ে আগের দিনই বিবৃতি দিয়েছে ইউরোপ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। তবে হুমকি পাত্তাই দিচ্ছে না থেকে যাওয়া তিনটি ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস। যৌথ বিবৃতি দিয়ে উল্টো উয়েফার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।

সুপার লিগ আবির্ভাবের শুরু থেকেই নানা হুমকি দিয়ে আসছিল উয়েফা। ফিফার সমর্থনও পায় সংস্থাটি। শুক্রবার রাতে তিন ক্লাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানিয়ে এক বিবৃতি দেয় উয়েফা।

মূলত সুপার লিগ থেকে সরে আসতে ক্লাবগুলোকে চাপ দিচ্ছে বলে দাবী করে ক্লাব তিনটি। নিজেদের প্রতিবাদী বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, 'প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবগুলোকে আগেও অনেক ভুগতে হয়েছে, এখনও তারা সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অগ্রহণযোগ্য এক তৃতীয় পক্ষ আমাদেরকে সুপার লিগ থেকে সরে যেতে চাপ ও হুমকি দিচ্ছে।'

আইনি প্রক্রিয়ার বিপক্ষে যাওয়ায় উল্টো উয়েফাকে এক হাত নিয়েছে তারা, 'আইনিভাবে এটা মেনে নেওয়া যায় না, ট্রাইবুনাল যেখানে ইতোমধ্যে সুপার লিগের পক্ষে রায় দিয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফিফা, উয়েফাকে কিংবা তাদের অনুমোদিত সংগঠনগুলোর মাধ্যমে এর (সুপার লিগ) বিরুদ্ধে কোনোরকম ব্যবস্থা নেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।'

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল সুপার লিগের পক্ষে মত দিয়েছে স্পেনের একটি বাণিজ্যিক আদালত। রায়ে বলা হয়, ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ১২টি ক্লাবের সুপার লিগ গঠন রোধ করতে পারে না ফিফা কিংবা উয়েফা। তবে অধিকাংশ ক্লাব সরে যাওয়ার এমনিতেই এ আসরের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়েছে।

এর আগে শুক্রবার এক বিবৃতিতে উয়েফা প্রধান আলেকজান্ডার সেফেরিন জানান, ৯ ক্লাব এরমধ্যেই অঙ্গীকারনামায় সই করেছে। সময়ে পেরিয়ে যাওয়ায় বাকি তিন ক্লাবকে শাস্তি পেতে হবে, 'ওই সুপার লিগ থেকে সরে আসার আহবান প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সব রকমের অধিকার উয়েফার রয়েছে।'

আর সুপার লিগ থেকে সরে আসা ৯ ক্লাবও পুরোপুরি শাস্তি এড়াতে পারেনি। কিছু অর্থদণ্ড দিতে হচ্ছে। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ফেরার সদিচ্ছার স্বরূপ সবাইকে মিলিতভাবে দেড় কোটি ইউরো অনুদান দিতে হবে। যা ইউরোপের শিশু, যুব ও তৃণমূল পর্যায়ের ফুটবলের উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে।

এছাড়াও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ থেকে এক মৌসুমে পাওয়া রাজস্বের পাঁচ শতাংশও তাদের দিতে হবে। একই সঙ্গে আগামীতে এই ধরনের 'বিদ্রোহী' লিগে খেলতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ১০ কোটি ইউরো গুণতে হবে, আর কোন রকম অঙ্গীকার ভঙ্গ করলে মাশুল দিতে হবে ৫ কোটি ইউরো।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago