বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক আমলা নিয়োগের নিন্দা ৪ শিক্ষক সংগঠনের
জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে অবসরপ্রাপ্ত এক জন অতিরিক্ত সচিবকে নিয়োগের নিন্দা জানিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চারটি সংগঠন।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ওই নিয়োগ বাতিল করে এ সংক্রান্ত আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছে।
গত ৫ মে অবসর–উত্তর ছুটিতে থাকা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবদুল মান্নানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনে তাকে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিইউটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া জানান, আগামী মঙ্গলবার দুপুরে এ বিষয় নিয়ে তারা সংবাদ সম্মেলন করবেন। সেখান থেকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে সাবেক অতিরিক্ত সচিবের নিয়োগ বাতিলের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে। এর প্রতিবাদে কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে।
আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এক সংবাদ বিবৃতিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক আমলার নিয়োগ বাতিল ও এ সংক্রান্ত আইন সংশোধনের দাবি জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষস্থানীয় পদে সাবেক অতিরিক্ত সচিব নিয়োগ করা প্রচলিত রীতির বিরুদ্ধে যায়। রাষ্ট্রের অন্যান্য ক্ষেত্রের ন্যায় উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রেও আমলাদের পদায়নের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘রাষ্ট্রের বিভিন্ন পেশার কর্মক্ষেত্র ও পরিধি সুনির্ধারিত। ভিন্ন পেশার একজন ব্যক্তিকে উচ্চশিক্ষা প্রশাসনে নিয়োগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে পেশাগত আন্তঃসম্পর্ককে হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে। এর ফলে রাষ্ট্র ও প্রশাসনে অস্থিরতা সৃষ্টির হতে পারে।’
গতকাল শুক্রবার রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও এই নিয়োগের প্রতিবাদ জানায়। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অযাচিত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি পীঠস্থান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ধীরে ধীরে মর্যাদাহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার অশুভ প্রয়াস চালানো হচ্ছে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘সরকারি কর্মকর্তার নিয়োগদান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর আমলাতন্ত্রের নগ্ন হস্তক্ষেপ।’
আরও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে আমলাদের পদায়নের সূচনা?
Comments