ফেরি বন্ধের ঘোষণা দিয়ে যাত্রীদের শিমুলিয়া ঘাট ছাড়তে বলল প্রশাসন

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি বন্ধের ঘোষণা দিয়ে যাত্রীদের ঘাট ছাড়তে বলেছে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিসি। দিনে এই নৌপথে আর ফেরি চলাচল করবে না।

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি বন্ধের ঘোষণা দিয়ে যাত্রীদের ঘাট ছাড়তে বলেছে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিসি। দিনে এই নৌপথে আর ফেরি চলাচল করবে না।

বিজিবি চেকপোস্ট থেকে লাশবাহী গাড়িগুলোকে যমুনা সেতু ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। পচনশীল পণ্যবাহী যানবাহনগুলো রাতে পার করা হবে। এখনো যারা ঘাটে আসছেন তাদেরকে ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।

এদিকে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যাত্রী বহনের ঘটনায় ১৭টি ট্রলার জব্দ করে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভোর থেকে সরেজমিনে দেখা যায়, শিমুলিয়া ঘাটের এক কিলোমিটার আগে একটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখানে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা যাত্রীবাহী কোনো গাড়ি ঘাটে যেতে দিচ্ছেন না। তবে ঘাট এলাকার আশেপাশের বিভিন্ন পথ ধরে যাত্রীদের আসতে দেখা যায়। চেকপোস্ট দিয়েও পায়ে হেঁটে আসতে দেখা যায় যাত্রীদের।

সকালে শিমুলিয়া থেকে দুইটি ফেরিতে প্রায় পাঁচ হাজার যাত্রী পার হওয়ার পর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করে। ফেরির টার্মিনালে অবস্থান নেন শতাধিক যাত্রী। বিকাল ৩টা থেকে বৃষ্টি শুরু হলে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা বিপাকে পড়েন।

ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, দুইটি ফেরিতে লাশবাহী গাড়ি ও যাত্রী পার করার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে দিনে আর ফেরি চলাচল করবে না। বিকাল সাড়ে ৩টায় যাত্রীদেরকে ফিরে যেতে বলে পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও ঘাট কর্তৃপক্ষ। মাইকিং করে যাত্রীদেরকে ঘাট ত্যাগ করার অনুরোধ জানানো হয়।

বরিশালগামী অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. ওয়ারেজ জানান, সকাল ৮টায় ঢাকার কলাবাগানে বেসরকারি একটি হাসপাতাল থেকে রোগী নিয়ে সকাল ৯টায় ঘাটে আসি। ১২টা পর্যন্ত ঘাট এলাকায় আছি। সর্বশেষ শাহ পরান নামে একটি ফেরি ছাড়লেও সেখানে উঠতে পারিনি।

মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রী পারাপার পুরোপুরি বন্ধ। লাশবাহী গাড়িকে যমুনা সেতু ব্যবহার করার জন্য বলা হচ্ছে। রাতে শুধু পচনশীল পণ্যবাহী যানবাহন পার করা হবে। এসবের সঙ্গে যাত্রী পারাপারের সুযোগ নেই।

শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডাব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ জানান, দুপুর থেকে ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেসব পণ্যবাহী যানবাহন পারের অপেক্ষায় আছে এসব রাতে পার করা হবে। 

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর মোঃ হিলাল উদ্দিন জানান, সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে ফরিদপুর ফেরিটি ৭টি অ্যাম্বুলেন্সসহ যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এরপর ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে শাহ পরাণ হাজারো যাত্রী ও অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ছেড়ে গেছে। আর সকালে মাদারিপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে কুঞ্জলতা, কুমিল্লা ফেরি আসে শিমুলিয়ায়। শিমুলিয়াঘাট এলাকায় ৩৫০ পণ্যবাহী যানবাহন পারের অপেক্ষায় আছে।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago