মরদেহবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে পদ্মা পার হচ্ছে হাজারো যাত্রী

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারিপুরের বাংলাবাজার নৌপথে অ্যাম্বুলেন্স ও মরদেহবাহী গাড়ির সঙ্গে পদ্মা পার হচ্ছে হাজারো যাত্রী। মানবিক কারণে এসব গাড়ি পার করতে গিয়ে যাত্রীরা ফেরিতে জোরপূর্বক উঠে যায়। আজ সোমবার সকাল থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত তিনটি ফেরি পদ্মা পার হয়েছে।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে মরদেহবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে পদ্মা পার হচ্ছে হাজারো যাত্রী। ছবি: স্টার

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারিপুরের বাংলাবাজার নৌপথে অ্যাম্বুলেন্স ও মরদেহবাহী গাড়ির সঙ্গে পদ্মা পার হচ্ছে হাজারো যাত্রী। মানবিক কারণে এসব গাড়ি পার করতে গিয়ে যাত্রীরা ফেরিতে জোরপূর্বক উঠে যায়। আজ সোমবার সকাল থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত তিনটি ফেরি পদ্মা পার হয়েছে।

এদিকে, ভোর থেকে শিমুলিয়াঘাট থেকে প্রবেশের এক কিলোমিটার দূরে বিজিবি সদস্যদের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। এ ছাড়া, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে হাইওয়ে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি ফিরিয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন পথ দিয়ে ঘাটে আসছেন যাত্রীরা।

ঘাটে আসার পর ফেরিতে চলে গেলে ঘাট এলাকা যাত্রী শূন্য হয়ে পড়ে। দুপুর ১টায় ঘাট এলাকায় শতাধিক যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. হিলাল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রাত থেকে পণ্যবাহী গাড়ি পার করা হয়, যা বন্ধ হয় ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। সকাল সোয়া ৭টায় একটি ফেরি শিমুলিয়াঘাট থেকে অ্যাম্বুলেন্স ও মরদেহবাহী যানের সঙ্গে পদ্মা পার হয়েছে। এরপর সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ডাম্প ফেরি যমুনা ও বেলা সাড়ে ১২টায় ছেড়ে যায় শাহ পরাণ ফেরি। ঘাট এলাকায় শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন পারের অপেক্ষায় আছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ ডেইলি স্টারকে জানান, ঘাট এলাকায় যেসব অ্যাম্বুলেন্স ও মরদেহবাহী গাড়ি এসে জমা হচ্ছে, তাদেরকে পারের জন্য ফেরি চলছে। বিভিন্ন মাধ্যমে ঘাটে আসা যাত্রীদেরকে ফেরি থেকে দূরে রাখা যাচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেরি ছাড়া হচ্ছে। ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যাত্রীদের আটকানো না গেলে ঘাটে ভিড় হবেই।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘শিমুলিয়াঘাটে যেসব অ্যাম্বুলেন্স ও মরদেহবাহী গাড়ি আসছে, এসব ফেরির মাধ্যমে পার করা হচ্ছে। টার্মিনালে ফেরি এসে থামলে হাজারো যাত্রী জোরপূর্বক উঠে যাছে। তাদেরকে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না।’

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago