বাংলাদেশিদের আরব আমিরাতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশসহ চারটি দেশ থেকে থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার আমিরাত কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দিলেও, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে আগামী ১২ মে থেকে।

বাংলাদেশসহ চারটি দেশ থেকে থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার আমিরাত কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দিলেও, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে আগামী ১২ মে থেকে। 

দেশটির জাতীয় জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও সিভিল অ্যাভিয়েশন টুইটার বার্তায় জানিয়েছে, দেশি ও বিদেশি ফ্লাইটে করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসা ভ্রমণকারীদের ও এসব দেশ থেকে ট্রানজিট গ্রহণকারী যাত্রীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে এসব দেশে যাওয়ার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে ট্রানজিট নেওয়া ফ্লাইটগুলোকে এই বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।

গালফ নিউজ জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ট্রানজিট নিয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় যাওয়া বিমানগুলোর ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কর্যকর হবে না। 

এই নিষেধাজ্ঞা শুধু তাদের জন্য, যারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশের অন্তত ১৪ দিন আগ পর্যন্ত দেশেগুলোতে অবস্থান করেছিলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত দেশগুলোকে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দিলে আবারও বিমান চলাচল শুরু হবে। 

তবে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিক, কূটনৈতিক মিশন, অফিসিয়াল প্রতিনিধি, ব্যবসায়ীক কাজে যাওয়া ও বয়স্ক ব্যক্তিদের এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কতগুলো পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, অন্তত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করা করোনাভাইরাসের পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রেজাল্ট দেখাতে হবে। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, উক্ত দেশগুলো থেকে যারা আসবেন অথবা সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশের অন্তত ১৪ দিন আগে সেখানে ছিলেন তাদের জন্য এটা প্রযোজ্য হবে। 

তবে ওইসব দেশগুলোর সঙ্গে কার্গো বিমান চলাচল অব্যাহত রাখবে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

এই সিদ্ধান্তের ফলে যেসব ভ্রমণকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাদের সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সগুলোকে ফ্লাইটের সময়সূচি পরিবর্তন করতে বলেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ, যেন তারা নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi migrant workers in gulf countries

Can we break the cycle of migrant exploitation?

There has been a silent consensus on turning a blind eye to rights abuses of our migrant workers.

6h ago