ফেরিতে ঠাসাঠাসি: হিটস্ট্রোকে ৫ জনের মৃত্যু

করোনাকালীন বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি যাচ্ছিলেন বরিশালের নুরুল উদ্দিন। ভিড় ঠেলে ফেরিতে ওঠেন। মাথার ওপর তখন তপ্ত সূর্য। প্রচণ্ড রোদ আর তাপদাহে হিটস্ট্রোক করে ফেরিতেই মারা যান তিনি।
Madaripur
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

করোনাকালীন বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি যাচ্ছিলেন বরিশালের নুরুল উদ্দিন। ভিড় ঠেলে ফেরিতে ওঠেন। মাথার ওপর তখন তপ্ত সূর্য। প্রচণ্ড রোদ আর তাপদাহে হিটস্ট্রোক করে ফেরিতেই মারা যান তিনি।

আজ বুধবার মাদারীপুরের কাঠালবাড়িতে ফেরি পার হওয়ার সময় প্রচণ্ড গরম আর মানুষের চাপে হিটস্ট্রোক করে নুরুল উদ্দিনসহ মারা গেছেন পাঁচ জন।

এনায়েতপুরী নামের ফেরিতে চার জন ও শাহপরান ফেরিতে একজন মারা যান।

ফেরিঘাটের পন্টুন স্টাফ স্বপন মিয়া বলেন, ‘আমি ঘাটে এসে দেখি চার জন মারা গেছেন।’

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘শিমুলিয়া ঘাট থেকে যে ফেরিগুলো আসে তা ছিল কানায় কানায় পূর্ণ, তিল ধারণের জায়গা পর্যন্ত ছিল না। প্রচণ্ড গরমের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

কোনো মামলা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যেহেতু এটি নিছক দুর্ঘটনা, তাই মামলা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে যদি কোনো নাশকতার গন্ধ পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মানুষের প্রচণ্ড ভিড় ও তাপদাহের কারণে দুই ফেরিতে পাঁচ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে দুজন নারী ও তিন জন পুরুষ।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিহতদের প্রতিটি পরিবারকে মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।’

‘আর যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মৃত তিন জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেলে তাদের পরিবারের সদস্যরা এসে মরদেহগুলো নিয়ে যান।

তারা হচ্ছেন- বরিশালের মুলাদি থানার চরলেখান গ্রামের নুরুল উদ্দিন (৪০), মাদারীপুরের কালকিনি থানার বালিগ্রামের মোসাম্মাৎ নিপা আক্তার (৩৮) ও শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার কালীকাপ্রসাদ গ্রামের মো. আনসার।

Comments