বিকল্প যানে ঘরে ফিরছে মানুষ
গাজীপুরে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যানবাহনের চাপে বুধবার সকাল থেকেই টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কে থেমে থেমে যানবাহনের জট দেখা গেছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেলে যানবাহনের চাপ আরও বাড়তে থাকে।
সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ছিল গাড়ির চাপ। তবে দূরপাল্লার বাস চলাচল ছিল বন্ধ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ।
মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা, রাজেন্দ্রপুর, সালনা, পোড়াবাড়ী, ভবানীপুর, মাওনা চৌরাস্তা, জৈনাবাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যে দৃশ্যটি সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে তা ছিল লেগুনা, সিএনজি, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে চড়ে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা। নিজ পরিবারের সদস্যদের সাথে একযোগে ঈদ করার জন্য শত কষ্ট নিয়েও বাড়ি ফিরছে তারা। অনেককেই হেঁটে যাত্রা করতে দেখা গেছে।
একটি পোশাক কারখানার কর্মী রাকিবুল হক বুধবার প্রায় দেড় ঘণ্টা চান্দনা চৌরাস্তায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন। দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে দ্বিগুণ ভাড়ায় গাজীপুরের লোকাল বাসে উঠেন শ্রীপুরের জৈনাবাজার পর্যন্ত। তিনি বলেন, সড়কে তূলনামূলক যাত্রীবাহী পরিবহন কম। তারপরও যানজট কমেনি। অনেকটা ভোগান্তির মধ্যেই সাধারণ মানুষকে পথ চলতে হচ্ছে।
এদিকে, বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় কিছু কিছু জায়গায় যানজট পুরো রাস্তা কর্দমাক্তসহ ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কে স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না গাড়ি।
শ্রীপুরের মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, সড়কে কার্ভাডভ্যান, ছোট-বড় পরিবহন চলাচল করছে। আর ঘরমুখী লাখ লাখ মানুষ এসব পরিবহনে করোনা ঝুঁকি উপেক্ষা করে বাড়ি ফিরছেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) উপকমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সকাল থেকে যনবাহন ও যাত্রী বেড়ে যাওয়ায় সড়কে চাপ বেড়েছে। যানজট যেন না হয় তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ।
Comments