সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে লালমনিরহাটের ৩ ইউনিয়নে ঈদ

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার আজ বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে।
লালমনিরহাটের ৩ ইউনিয়নে ঈদ উদযাপিত। ছবি: স্টার

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার আজ বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের মুন্সীপাড়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা ইমান আলী। করোনাভাইরাসের কারণে ঈদের জামাতে সরকারি নির্দেশনা মেনে মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন তারা।

সূত্র আরও জানিয়েছে, কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা, তুষভান্ডার ও চন্দ্রপুর ইউনিয়নের তুষভান্ডার, সুন্দ্রহবী, কাকিনা, চাপারহাট, চন্দ্রপুর, আমিনগঞ্জ ও মুন্সীপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের সদস্যরা আজ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।

প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা ও ঈদ করেন এসব গ্রামের বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে মুন্সীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ইমান আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে ঈদের জামাত আদায় করেছি।’

লালমনিরহাটের ৩ ইউনিয়নে ঈদ উদযাপিত। ছবি: স্টার

কালীগঞ্জ উপজেলার হাড়িশহরের মুন্সীপাড়ার ঈদগাহ মাঠের সভাপতি মাওলানা মাছুম বিল্লাহ্ ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকার মানুষ ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, শবে-কদর, শবে মেরাজসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে আসছেন। সেই হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে অনেক আগে থেকে কাকিনা, তুষভান্ডার ও চন্দ্রপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন কিছু মানুষ।’

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও তুষভান্ডার, সুন্দ্রহবী, কাকিনা, চাপারহাট, চন্দ্রপুর, আমিনগঞ্জ ও মুন্সীপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় কিছু মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।’

‘বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সেসব এলাকার মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা’, উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি নজরদারি করার জন্য পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago