২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চিন্তা আইসিসির
আগামীতে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা বাড়তে পারে। ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতেই এমন চিন্তা করছে আইসিসি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা ১৬ থেকে বেড়ে হতে পারে ২০টি।
তাছাড়া, ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা ১০ থেকে উন্নীত হতে পারে ১৪টিতে। অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করতে ইতিবাচক মনোভাব দেখানোর পাশাপাশি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ ফেরানোর ভাবনাও রয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির।
শুক্রবার ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা যেতে পারে ২০ দলের অংশগ্রহণ। প্রাথমিক পর্বে চার গ্রুপে খেলবে পাঁচটি করে দল।
সারা বিশ্বে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়াতে টি-টোয়েন্টি সংস্করণকে বরাবরই আদর্শ হিসেবে ভেবে আসছে আইসিসি। ইতোমধ্যে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দল বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়ছে তারা।
আইসিসির ওয়ানডে বিশ্বকাপে দল বৃদ্ধির ভাবনা নিঃসন্দেহে ভীষণ ইতিবাচক ও আশা জাগানিয়া। কারণ, গত কয়েকটি বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা ক্রমেই কমানো হচ্ছিল। ২০০৭ সালে যেখানে অংশ নিয়েছিল ১৬টি দল, সেখানে সবশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলেছিল মাত্র দশটি।
আইসিসির প্রধান নির্বাহীদের কমিটির (সিইসি) সাম্প্রতিক বৈঠকে এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনও অবশ্য নেওয়া হয়নি। তবে সংস্থাটির পূর্ণ ও প্রভাবশালী সদস্যরা বিশ্বকাপের পরিধি বাড়ানোর সুবিধা আমলে নিয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
সহযোগী দলগুলো আগে খেলত প্রথম শ্রেণির মর্যাদাসম্পন্ন আসর ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রাচীন সংস্করণের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার সুযোগ পেত তারা। বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিযোগিতাটি ফিরতে যাচ্ছে নতুন নামে।
অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি সিইসিতে তুলেছিলেন ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট (ইসিবি) বোর্ডের টম হ্যারিসন। এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে টি-টেন সংস্করণকে। অতীতে বিরোধিতা করলেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এবার দিয়েছে সবুজ সংকেত।
২০২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চালানো হতে পারে। তবে ২০৩২ সালে ক্রিকেট যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ওই আসরের আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে আছে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন শহরের।
Comments