গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলা, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৭

ছবি: এএফপি

গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বোমা হামলায় অন্তত সাত শিশু ও দুই নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক শিশুসহ অন্তত ১৫ জন। সেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও কয়েকজন চাপা পড়েছেন। গত ১০ মে ইসরায়েলি হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৬ শিশুসহ ১৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৯২০ জন।

আজ শনিবার ভোরে শাতি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুইটারে সাফা প্রেস এজেন্সির পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে।

সাফা প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো খান ইউনুসের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায় বোমাবর্ষণ করছে।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলায় অধিকৃত পশ্চিম তীরে গতকাল শুক্রবার আরও ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরজুড়ে চিকিৎসকরা নতুন করে ১১ ফিলিস্তিনির নিহত ও এক হাজার ৩৩৪ জন আহত হওয়ার সংবাদ দিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় আজও বিমান হামলা ও কামান থেকে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গাজায় নতুন করে আরও কয়েকটি স্থানে হামলা চালানোয় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রাণ বাঁচাতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পরিবার গাজার উত্তরাঞ্চলে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে।

জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনি তাদের গাজার বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।

আল-জাজিরা ও ইসারেয়েলের সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্ট জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের নয় জন নিহত হয়েছেন।

হামাস আজ সকালে আবারও ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে। এবার হামলা চালানো হয়েছে সদেরত ও আশদদ শহরে। তবে এতে কোনো হতাহতের সংবাদ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

First day of tariff talks ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

26m ago