ঈদের দ্বিতীয় দিনে চন্দ্রিমা উদ্যান-হাতরিঝিলে মানুষের উপচে ভিড়

ঈদের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকলেও রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যান, রমনা পার্ক, হাতিরঝিল, ধানমন্ডি লেক, আগারগাঁসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
আজ বিকেলে রাজধানীর হাতিরঝিলের চিত্র। ছবি: প্রবীর দাশ/ স্টার

ঈদের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকলেও রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যান, রমনা পার্ক, হাতিরঝিল, ধানমন্ডি লেক, আগারগাঁসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

এসব এলাাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক।

তিনি জানান, এসব স্থানে অনেককেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। তা ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্যে রাস্তাঘাটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরও তেমন তৎপরতাও চোখে পড়েনি।

চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘুরতে আসাদের মধ্যেই বেশিরভাগই ছিলেন পোশাক শ্রমিক, গৃহকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার নিম্ন আয়ের মানুষ।

ঘুরতে আসা অনেকেই জানিয়েছেন, অনেকদিন বাসায় থেকে সবার মাঝে একঘেয়েমিতা চলে এসেছে। তাই সবাই ঘুরতে বের হয়েছেন।

আজ বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি লেকের চিত্র। ছবি: প্রবীর দাশ/ স্টার

আগারগাঁও বস্তি থেকে চন্দ্রিমা উদ্যানে স্বামী ও এক সন্তান নিয়ে ঘুরতে আসেন পোশাকশ্রমিক শেফালী (২৮) । তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে কোথাও তেমন যাওয়ার জায়গা নেই। গার্মেন্টসে কাজ করার কারণে তেমন ছুটি পাই না। তাই আজকে একটু ঘুরতে এসেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক টাকা লাগে। কিন্তু, সেই সামর্থ্য আমাদের নেই। পাঁচ-সাতশ টাকার মধ্যেই এখানে ঘোরাফেরা এবং বাচ্চার জন্য টুকটাক কেনা-কাটা হয়ে যায়। তাই এখানে আসা।’

হাতিরঝিলে সকাল থেকেই লোকজনের অনেক ভিড় দেখা গেছে। এখানে সব শ্রেণির মানুষজন ঘুরতে আসলেও নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্তদের বেশি দেখা গেছে।

এদিকে ঈদের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার রাজধানী ছেড়েও যাচ্ছেন। তবে, ফেরার সংখ্যাটাই বেশি।

সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম খান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঈদের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা-আরিচা হাইওয়ে মোটামোটি ফাঁকাই দেখা গেছে। তবে, আগামীকাল অফিস থাকায় অনেককে রাজধানীতে ফিরতে দেখা গেছে।’

হাসপাতালগুলোতে কমেছে রোগীর সংখ্যা

রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে কমেছে রোগীর সংখ্যা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালহ কয়েকটি হাসাপাতালে আজ রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়ার চিত্র দেখা গেছে।

ঢামেকের অর্থপেডিক ইউনিটের চিত্র। ছবি: স্টার

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সসূত্রে জানা গেছে, আজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন এক হাজার ২৬১ জন রোগী, যা এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। যেখানে অন্য সময়ে দুই হাজার ছয় শ বেডের এই হাসপাতালে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার রোগী ভর্তি থাকতেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের এক কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে জানান, ঢাকা মেডিকেলের অধিকাংশ রোগী থাকেন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায়। লকডাউনের কারণে এবার তারা এখানে আাসেননি। জেলা হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাই রোগীর সংখ্যা কমে গেছে।

রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবদুল গণি মোল্লা ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এই হাসাপাতালের অনেক রোগীর শারীরিক সমস্যা থাকায় চাইলেও তাদের যেকোনো সময়ে ডিসচার্জ দেওয়া যায় না। এখন আগের তুলনায় রোগী কিছুটা কমেছে।’

Comments

The Daily Star  | English

$8b climate fund rolled out for Bangladesh

In a first in Asia, development partners have come together to announce an $8 billion fund to help Bangladesh mitigate and adapt to the effects of climate change.

9h ago