পাখিদের আশ্রয়স্থল ধ্বংস করলেন স্কুলশিক্ষক

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার উগলছড়ি নামের জায়গাটি পরিচিত পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবে। নিজের দাবি করে নানা প্রজাতির পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল এখানকার ৪০টার বেশি গাছ কেটে ফেলেছেন আব্দুল করিম নামের এক স্কুলশিক্ষক।
গাছ কেটে ফেলার পর দেখা যায়, কয়েকটা মৃত পাখি গাছের ডালে ঝুলছে। নিচেও পড়ে ছিল কয়েকটা। ছবি: সংগৃহীত

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার উগলছড়ি নামের জায়গাটি পরিচিত পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবে। নিজের দাবি করে নানা প্রজাতির পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল এখানকার ৪০টার বেশি গাছ কেটে ফেলেছেন আব্দুল করিম নামের এক স্কুলশিক্ষক।

গাছ কেটে পাখির আশ্রয়স্থল ধ্বংস করা আব্দুল করিম কাচালং উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। 

৪০টির বেশি গাছ কেটে বাকিগুলোও কাটার পরিকল্পনা করছেন বলে অভিযোগ স্কুলশিক্ষক আব্দুল করিমের নামে। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় বাসিন্দা মো. ওমর আলী বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭ এপ্রিল।

ওমর আলীর ভাষ্য, গাছগুলো কেটে ফেলার পর সেখানে অনেক পাখির ছানা ও ডিম পড়ে ছিল। এ ছাড়া মৃত পড়ে ছিল কিছু প্রাপ্তবয়স্ক পাখিও।

তার দাবি, গত ২৬ বছর ধরে তিনি গাছগুলোতে বিভিন্ন সময়ে আবাস গড়ে তোলা পাখিদের দেখাশোনা করছিলেন।

দ্য ডেইলি স্টারকে ওমর আলী বলেন, ‘আব্দুল করিম গাছগুলো নিজের দাবি করে কেটে ফেলেছেন। এখন বাকি গাছগুলোও কাটার পরিকল্পনা করছেন।’

গাছগুলো কেটে ফেলার পর সেখানে অনেক পাখির ছানা, ডিম ও মৃত প্রাপ্তবয়স্ক পাখি পড়ে থাকতে দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় এই বাসিন্দা জানান, পাখিদের অভয়রাণ্য নামে পরিচিত এই এলাকায় পানকৌড়ি, শালিক, বক, গাঙচিল, ছোট সরালি, বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস, চখাচখি ও শামুকখোলসহ নানা প্রজাতির পাখির দেখা মেলে।

পাখিদের প্রতি এমন নিষ্ঠুর আচরণ নাড়া দেয় স্থানীয় সংবাদকর্মী ও ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মো. ওমর ফারুককে। তিনি বলেন, ‘সেদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, প্রায় ৩০টির মতো বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কয়েকটা মৃত পাখি গাছের ডালে ঝুলছে। নিচেও পড়ে ছিল কয়েকটা।’

অবশ্য অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষক আব্দুল করিমের বক্তব্য, তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নিজের বাগান থেকে ২০টার মতো গাছ কেটেছেন। তার মতে, গাছগুলোতে পাখিদের কোনো আবাসস্থল নেই। পাখিরা রাতে আসে, আবার দিনে চলে যায়।

পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ধ্বংসের এই খবর পৌঁছেছে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফুল ইসলামের কাছেও। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত গাছগুলো ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গায় পড়েছে। তাই আমরা কিছুই করতে পারিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago