এফএ কাপ জিতে ফিলিস্তিনের প্রতি ‘বাংলাদেশি’ হামজার সমর্থন

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ফুটবলার ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে গোটা ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করেন।
hamza

শেষ বাঁশি বেজে উঠতেই উল্লাসে মেতে ওঠেন লেস্টার সিটির খেলোয়াড়, কোচ ও ভক্ত-সমর্থকরা। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার ঐতিহ্যবাহী এফএ কাপের শিরোপা জেতা বলে কথা! বাঁধভাঙা উৎসবের মাঝে আলাদা করে নজর কাড়েন হামজা চৌধুরী।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ফুটবলার ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে গোটা ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করেন। সেসময় তার সঙ্গে ছিলেন ক্লাবটির আরেক মুসলিম খেলোয়াড় ওয়েসলি ফোফানা। এভাবেই ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সেখানে ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানান তারা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ২৩ বছর বয়সী হামজাকে নিয়ে বন্দনা। ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে তার ও ফোফানার প্রতিবাদের ছবি ও ভিডিও হয়েছে ভাইরাল।

এর আগের গল্পটা লেস্টারের স্বপ্ন পূরণের। ২০১৫-১৬ মৌসুমে সবাইকে চমকে দিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতলেও এফএ কাপ এতদিন অধরাই ছিল তাদের। সেই অপেক্ষার অবসান হয়েছে শনিবার রাতে।

চেলসির বিপক্ষে ফাইনালে ইউরি টিলেমানসের একমাত্র গোলে জিতেছে লেস্টার। এর আগে চারবার ফাইনালে উঠেও হতাশ হতে হয়েছিল তাদের। এবার ৫২ বছর পর শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে জায়গা পেয়ে বাজিমাত করেছে ব্রেন্ডন রজার্সের শিষ্যরা।

উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে নাটকীয়তাও কম হয়নি। ৮৮তম মিনিটে বেন চিলওয়েলের শট লেস্টারের ওয়েস মর্গ্যানের পায়ে লেগে গোললাইন অতিক্রম করলে সমতায় ফেরার উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিল চেলসি। কিন্তু সেটা টেকেনি। ভিএআরে সাহায্য নেওয়া হলে অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোলটি।

মাঠের লড়াই শেষ হওয়ার পর নায়ক বনে যান হামজা। তার জন্ম ইংল্যান্ডে হলেও মা বাংলাদেশি ও বাবা গ্রেনাডিয়ান। তিনি বাংলাদেশে এসেছেন অনেকবার। তার নানা বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামে। ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে হামজা খেলেছেন সাতটি ম্যাচ।

উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের  মুহুর্মুহু হামলা চলছে, তাতে নিহত হয়েছেন বহু মানুষ। ইসরাইলের দিকে পাল্টা রকেট হামলা চালাচ্ছে ফিলিস্তিনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামাসও। তবে নিহতের সংখ্যায় ইসরাইলের চেয়ে ফিলিস্তিনের মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি।  হামজা ও ফোফানার আগে আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন লিভারপুলের মোহামেদ সালাহ, আর্সেনালের মোহামেদ এলনিনিসহ অনেকে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago