যশোরে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনের পর বাড়ি ফেরা দম্পতি করোনা পজিটিভ

যশোরে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শেষে বাড়ি ফিরে যাওয়া ভারত ফেরত দম্পতির করোনা পরীক্ষা করে পজিটিভ পাওয়া গেছে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর আজ দুপুরে এই দম্পতিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

যশোরে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শেষে বাড়ি ফিরে যাওয়া ভারত ফেরত দম্পতির করোনা পরীক্ষা করে পজিটিভ পাওয়া গেছে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর আজ দুপুরে এই দম্পতিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

এই দম্পতি হলেন, যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা রাজিব সাহা (৩৫) ও সুস্মিতা সাহা (২৩)। ভারত থেকে ফিরে তারা যশোর শহরের ম্যাগপাই হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।

ওই হোটেলের ম্যানেজার রাজু বিশ্বাস জানান, গত ২৯ এপ্রিল রাজিব সাহা ও সুস্মিতা সাহা ভারত থেকে বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঐদিন তাদের হোটেলে কোয়ারেন্টিনে পাঠান। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে তারা ১৩ মে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।

যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদ বলেন, ‘বাড়িতে থাকা দুইজন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। অফিসের কাজে বাইরে থাকায় বিস্তারিত তথ্য দিতে পারছি না।’ তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মেডিকেল অফিসার ডা. আদনান ইমতিয়াজের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আদনান ইমতিয়াজ বলেন, রাজিব সাহা ও সুস্মিতা সাহা কোয়ারেন্টিন শেষে বাড়িতে যাওয়ার পর তাদের উপসর্গ প্রকাশ পায়। যে কারণে তারা গতকাল ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। আজ সোমবার তাদের রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। তাদেরকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, আগে সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল ভারত ফেরতদের ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। সে মোতাবেক ১৪ দিন শেষে রাজিব সাহা ও সুস্মিতা সাহা ১৩ মে ছাড়পত্র পান। কোয়ারেন্টিনে তাদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়নি। বাড়ি ফিরে অসুস্থ বোধ করায় তারা নিজেরা পরীক্ষা করান এবং তাতে করোনা শনাক্ত হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago