মুক্তিযুদ্ধ

১৬ মে ১৯৭১: যুগীশো, পালশা ও হাসামদিয়ায় গণহত্যা

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১৬ মে ছিল গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এদিন দৈনিক স্টেটসম্যান পত্রিকা বাংলাদেশের সংগ্রাম বৃথা যাবে না শিরোনামে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছিল। এদিন মুক্তিবাহিনীর যুব শিবির কর্মসূচির শুরু হয়। এদিন রাজশাহীর যুগীশো ও পালশা গ্রামে গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি হানাদারেরা। এই গণহত্যায় ৪২ জন সংখ্যালঘু শহীদ হন। ফরিদপুরের হাসামদিয়া গ্রামে নির্বিচারে গণহত্যা চালায়  হানাদারেরা। এই গণহত্যায় শহীদ হন ৩৩ জন।

এদিন ঢাকায় ৫৫ শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও শিল্পী দেশের চলমান পরিস্থিতি ও পাকিস্তানের স্বপক্ষে বিবৃতি দেন। চট্টগ্রামের মুসলিম হলে সিরাত সম্মেলনে এদিন মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন রাজশাহীতে মুক্তিবাহিনীর কমান্ডোরা পাকিস্তানি হানাদারদের ওপর হামলা চালিয়েছিল এদিন। এই হামলায় নিহত হয়েছিল ২৫ জনের বেশি হানাদার সেনা। পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজী এদিন নারায়ণগঞ্জ ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে বক্তব্যে তিনি দুষ্কৃতকারীদের কঠোর হস্তে দমন করার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন। এদিন আনন্দবাজার পত্রিকায় ন্যাপের প্রধান মওলানা  ভাসানীর একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল। যেখানে ভাসানী পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টসহ বিশ্বনেতাদের প্রয়োজনে গণভোটের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য  বাংলাদেশের মানুষের অনুরাগ যাচাই করার আহ্বান জানান। এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দিল্লিতে এক বিবৃতি প্রদান করেন। এদিন দেশের বহু জায়গায় রাজাকার ও আল বদরের সহযোগিতায় গণহত্যা চালিয়েছে হানাদার বাহিনী। বহু জায়গায় হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল মুক্তিবাহিনী।

মওলানা ভাসানীর সাক্ষাৎকার

১৬ মে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয় মওলানা ভাসানীর একান্ত সাক্ষাৎকার। সাক্ষাৎকারে মওলানা ভাসানী বলেন, "বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ এখন স্বাধীনতা চায়। প্রয়োজনে যাচাইয়ের জন্য জাতিসংঘের উচিত গণভোটের আয়োজন করা।" তিনি এসময় বিশ্বের প্রতিটি দেশ ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। ন্যাপের প্রধান মওলানা ভাসানী এসময় চীন রাশিয়াসহ বিশ্বের সকল সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে অনতিলম্বে জাতিসংঘে প্রস্তাব তোলার অনুরোধ করেন।

বাংলাদেশের সংগ্রাম বৃথা যাবে না

১৬ মে ভারতের দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকা "বাংলাদেশের সংগ্রাম বৃথা যাবে না" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয় "প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আজ আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রাম বৃথা যাবে না। তারা শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতা এবং তার থেকে গণতান্ত্রিক সরকার অর্জন করবেন। মোহনপুরে এক বিশাল সমাবেশে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, "পূর্ব বাংলায় একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হলে ভারত তাকে স্বাগত জানাবে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখবে। ভারতের মতো তো সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেখানে সামরিক শাসকেরা জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে নিকৃষ্টতম হামলা করেছে। ভারত এবং পূর্ব বাংলার মানুষ গণতান্ত্রিক পন্থায় বিশ্বাসী এবং আমাদের জাতির স্বার্থে আমরা সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দিতে পারি না। এখন এটি তো শুধু পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়।"

কলকাতায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে এদিন

১৬ মে কলকাতার ডালহৌসি স্কয়ারে অবস্থিত গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলে বাংলাদেশের শরণার্থী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যার্থে এক কবিতা উৎসবের আয়োজন করে কলকাতা সাহিত্য আলোচনা কেন্দ্র। এই কবিতা পাঠের উৎসবের সভাপতি হিসেবে ছিলেন বিখ্যাত উর্দু কবি সাজ্জাদ জহির। এই কবিতা পাঠ উৎসবের উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল শান্তি স্বরূপ ধাওয়ান। কবিতা পাঠের উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন প্রখ্যাত উর্দু কবি কাইফি আজমী, ফিরাক গোরকপুরী, কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়, প্রীতিশ নন্দীসহ প্রখ্যাত কবিরা।

১৬ মে কলকাতায় বাংলাদেশি শরণার্থীদের সহায়তায় ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত “জলসাঘর” চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছিল।

ঢাকার ঘটনাপঞ্জি ও বিবৃতি

১৬ মে ঢাকায় মুক্তিবাহিনীর যুব শিবির গঠিত হয়। এর আগে যোদ্ধা নিয়োগে এমন কোনো নীতিমালা ছিল না। এদিন মুক্তিযোদ্ধারা প্রশিক্ষণ শিবির সংগঠিত করেছিলেন।

১৬ মে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজি ঢাকার নারায়ণগঞ্জ ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে বলেন 'দুষ্কৃতকারী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। ওরা আমাদের দেশ ও জাতির শত্রু।'

ঢাকায় বুদ্ধিজীবীদের গণবিবৃতি

১৬ মে ঢাকায় ৫৫ বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখক, শিল্পী ও চলচ্চিত্রকার এক গণবিবৃতিতে বলেন, "গত মার্চে দেশের প্রতিষ্ঠিত বৈধ সরকারকে অমান্য করার কাজ পুরোদমে চলছিল। নির্বাচনে জনগণের কাছ থেকে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন আদায়ের ম্যান্ডেট পেয়ে চরমপন্থীরা স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণার দাবিতে সম্প্রসারিত ও রূপায়িত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল। যারাই জনতার অর্পিত আস্থার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতায় অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে তাদের ওপর দুর্দিন নেমে এসেছিল। এ সময় ব্যাপকভাবে শিক্ষাঙ্গনকে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির কাজে অপব্যবহার করা হতে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে বাংলাদেশ মুক্তিফৌজের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও সমরাস্ত্রের গোপন ঘাঁটিতে পরিণত করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আমাদের অভাব-অভিযোগ রয়েছে। আমাদের এই অসন্তোষ আমরা প্রকাশ করেছি একই রাষ্ট্র কাঠামোর আওতায় পূর্ব পাকিস্তানের জন্য ব্যাপক স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে ভোট দিয়ে। কিন্তু আওয়ামী লীগের চরমপন্থীরা এই সহজ সরল আইনসঙ্গত দাবিকে একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণার দাবিতে রূপান্তরিত করায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। আমরা কখনও এটি চাইনি, ফলে যা ঘটেছে তাতে আমরা হতাশ হয়েছি। পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু প্রদেশ হিসেবে সারা পাকিস্তানকে শাসন করার অধিকার আমাদের আছে। আর তা আমাদের আয়ত্বের মধ্যেই এসে গিয়েছিল। কিন্তু ঠিক তখনই চরমপন্থীরা জাতীয় অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলল। নেমে এলো জাতীয় দুর্যোগ। কিন্তু আমাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে আশাবাদী হবার সঙ্গত কারণ রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত বর্তমান সরকার অবস্থা অনুকূল হবার সঙ্গে সঙ্গে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু করার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন। এ অবস্থায় আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কোনো রকম হস্তক্ষেপের বিরোধিতা ও নিন্দা করছি।”

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ড. সাজ্জাদ হোসেন, প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ, মীর ফখরুজ্জামান, ড. কাজী দীন মোহাম্মদ, নুরুল মোমেন, জুলফিকার আলী, আহসান হাবিব, খান আতাউর রহমান, আশকার ইবনে শাইখ, ড. মোহাম্মদ আলী, ড. আশরাফ সিদ্দিকী, মুনির চৌধুরী, এ এইচ চৌধুরী, আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমাম, শাহনাজ বেগম, ফরিদা ইয়াসমিন, আবদুল আলিম, খন্দকার ফারুক আহমদ, এমএ হামিদ, নীনা হামিদ, লায়লা আর্জুমান্দ বানু, শামসুল হুদা চৌধুরী, বেদারুদ্দিন আহমদ, সাবিনা ইয়াসমিন, ফেরদৌসী রহমান, মোস্তফা জামান আব্বাসী, সরদার জয়েনউদ্দীন, সৈয়দ মুরতাজা আলী, কবি তালিম হোসেন, শাহেদ আলী, কবি আবদুস সাত্তার, ফররুখ সিয়ার, কবি ফররুখ আহমদ, সম্পাদক আবদুস সালাম, সম্পাদক বদরুদ্দিন, সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দিন, ফতেহ লোহানী, হেমায়েত হোসেন, বি রহমান, মবজুলুল হোসেন, আকবর উদ্দিন, এএফএম আবদুল হক, অধ্যক্ষ একিউএম আদমউদ্দিন, আলী মনসুর, কাজী আফসারউদ্দিন আহমদ, সানাউল্লাহ নূরী, সামশুল হক, সরদার ফজলুল করিম, বদিউজ্জামান, শফিক কবির, ফওজিয়া খান ও লতিফা চৌধুরী। (তাদের মধ্যে অনেকেই গণবিবৃতিতে সই করতে বাধ্য হয়েছিলেন।)

ঢাকার বাইরে গণহত্যা ও প্রতিরোধযুদ্ধ

যুগীশো ও পালশা গণহত্যা

১৬ মে পাকিস্তানি হানাদারেরা রাজশাহীর দুর্গাপুরের যুগীশো পালসা গ্রামে নির্মম গণহত্যা চালায়। এদিন সকালে আশেপাশের গ্রামের রাজাকারদের সহায়তায় ছয়টি ভ্যানে হানাদারেরা গ্রামে প্রবেশ করে। হানাদারদের আগমনে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা নিকটবর্তী জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। কিন্তু স্থানীয় ডাকপিয়ন আবদুল কাদেরের সহায়তায় রাজাকারেরা গ্রামবাসীদের লুকানো জায়গা থেকে খুঁজে বের করে। এরপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় যুগীশো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর হানাদারেরা হিন্দু ও মুসলিমদের  আলাদা করে ফেলে।

হানাদারেরা ৪২ জন সনাতন ধর্মাবলম্বীকে নিকটবর্তী কুঁড়েঘরে নিয়ে গিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে। যারা বুলেটের আঘাতের ক্ষত নিয়েও বেঁচে ছিলেন এবং মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন তাদেরকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে হানাদার ও রাজাকারেরা। গণহত্যা শেষে রাজাকারেরা লাশগুলোকে পাশের পুকুরপাড়ে নিয়ে মাটিচাপা দিয়ে ফেলে। এরপর সব বাড়ি লুটপাট করে।

হাসামদিয়া গণহত্যা

১৬ মে ফরিপুরের বোয়ালমারির হাসামদিয়া গ্রামে নিষ্ঠুর গণহত্যা চালায় হানাদার ও রাজাকারেরা। এদিন সকালে যশোর সেনানিবাস থেকে পাকিস্তানি মেজর নেওয়াজের নেতৃত্বে হানাদার বাহিনী ফরিদপুরের বোয়ালমারী রেলওয়ে স্টেশনে আসে।

এসময় তারা মুজিব বাহিনীর নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্থানীয় সংগঠক শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। কিন্তু জাফরকে সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। জাফরকে ধরতে ব্যর্থ হয়ে আবুল কালাম আজাদের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী হাসামদিয়ার দিকে রওনা হয়। বোয়ালমারী স্টেশন থেকে হাসামদিয়ার দূরত্ব ছয় কিলোমিটারের মতো। হানাদার ও রাজাকারেরা হাসামদিয়া বাজারে পৌঁছে  হাসামদিয়া, রাজাপুর, রামনগর, পোয়াইল, শ্রীনগর ও ময়েনদিয়া গ্রামের ৩৩ জন নিরীহ মানুষকে আটক করে। এদের মধ্যে ৩২ জনই ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। আটককৃতদের রামনগর গ্রামে নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতনের পর ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে হানাদারেরা। হানাদার ও রাজাকারেরা হাসামদিয়া বাজারের বহু দোকান গান পাউডার ছিটিয়ে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।

১৬ মে রাজশাহীতে মুক্তিবাহিনীর কমান্ডোরা আচমকা পাকিস্তানি হানাদারদের উপর আক্রমণ করে। এসময় সংঘর্ষে ২৫ জন হানাদার বাহিনীর সামরিক শিক্ষার্থী নিহত হয়।

১৬ মে চট্টগ্রামের মুসলিম হলে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সিরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম চৌধুরী। এই সিরাত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল চৌধুরী রহমত এলাহী। তার বক্তব্যে তিনি বলেন, "জনগণকে আজ ভারতের চর ও দালালদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পাকিস্তানের অস্তিত্বের বিপন্নকারীদের কঠোর হস্তে দমন করছে আমাদের সেনাবাহিনী। পাকিস্তানের সব মুসলমানের উচিত যতক্ষণ পর্যন্ত না ষড়যন্ত্রকারীরা নির্মূল না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত  ঘরে না ফেরা।

তথ্যসূত্র–

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র অষ্টম, নবম, দ্বাদশ ও চতুর্দশ খণ্ড।

দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৭ মে ১৯৭১

দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকা, ১৭ মে ১৯৭১       

দৈনিক অমৃতবাজার পত্রিকা, ১৭ ও ১৮ মে ১৯৭১

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধঃ সেক্টর ভিত্তিক ইতিহাস সেক্টর ৩, ৫, ৭, এবং ৮ম খণ্ড

আহমাদ ইশতিয়াক [email protected]

আরও পড়ুন-

১৫ মে ১৯৭১: পাথরঘাটা ও কেতনার বিল গণহত্যা

১৪ মে ১৯৭১: বাড়িয়া ও নড়িয়ায় গণহত্যা

১৩ মে ১৯৭১: ডেমরা ও সাতানিখিলে নির্মম গণহত্যা

১২ মে ১৯৭১: সাতবাড়িয়া গণহত্যা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক তৎপরতাময় দিন

৩ মে ১৯৭১: টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন- ঢাকা এখন মৃত্যুপুরী

১ মে ১৯৭১: ‘বাংলাদেশ এখন একটি চিরন্তন সত্য ও বাস্তবতা’ ভারতীয় শিল্পমন্ত্রী

Comments

The Daily Star  | English

Interim govt against AL’s protests for tomorrow

The interim government will not permit the "fascist" Awami League to hold protests in Bangladesh tomorrow, said Chief Adviser's Press Secretary Shafiqul Alam

9m ago