করোনায় ভারতে একদিনে মারা গেছেন ৫০ ডাক্তার, মোট ৯৮০

ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে ৫০ জন ডাক্তারের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতের মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারতের মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) তথ্য মতে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত রোববার ৫০ জন ডাক্তারের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৪৪ জন ডাক্তার। এর মধ্যে বিহারে সবচেয়ে বেশি ৬৯ জন। এছাড়াও, উত্তর প্রদেশে ৩৪ জন ও দিল্লিতে ২৭ চিকিৎসক মারা গেছেন।

ভারতে এ পর্যন্ত ৯৮০ ডাক্তার মারা গেছেন উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার প্রথম ঢেউয়ে দেশটিতে মারা গেছেন ৭৩৬ জন চিকিৎসক।

দ্বিতীয় ঢেউয়ে মারা যাওয়া ডাক্তারদের মধ্যে মাত্র তিন শতাংশ টিকার পুরো ডোজ নিয়েছিলেন।

গত পাঁচ মাস ধরে পরিচালিত টিকাদান কর্মসূচির মধ্যে এ পর্যন্ত ৬৬ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী টিকার উভয় ডোজ নিয়েছেন। আইএমএ বলেছে, ডাক্তারদের টিকা নিতে উৎসাহিত করতে তারা সম্ভাব্য সব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আইএমএর জেনারেল সেক্রেটারি ডা. জয়েশ লেলে এনডিটিভিকে বলেছেন, ‘এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা গত রোববার ভারতজুড়ে ৫০ জন এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে দ্বিতীয় ঢেউয়ে ২৪৪ জন চিকিৎসককে হারিয়েছি।’

তিনি জানান, আইএমএ এর তথ্য মতে, অনেক ডাক্তার এখনো ভ্যাকসিন নেননি এবং ফ্রন্টলাইনে থাকা সব ডাক্তারের টিকা নেওয়া নিশ্চিত করতে সংস্থাটি যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।

‘দ্বিতীয়ত আমরা হাইলাইট করতে চাই যে দেশে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক কম থাকায় তাদেরকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। তারা কখনো কখনো বিশ্রাম ছাড়াই টানা ৪৮ ঘণ্টা কাজ করেন। এটি ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে এবং শেষ পর্যন্ত তারা সংক্রমণের শিকার হন। সরকারকে স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া দরকার,’ যোগ করেন তিনি।

আইএমএ আরও জানিয়েছে, কোভিডের কারণে এ পর্যন্ত এক হাজার চিকিৎসক মারা গেছেন। প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। আইএমএ কেবল তাদের প্রায় সাড়ে তিন লাখ সদস্যের রেকর্ড রাখে। ভারতে ১২ লাখেরও বেশি চিকিৎসক রয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English
ICU crisis in government hospitals Bangladesh

Life-saving care hampered in 25 govt hospitals

Intensive Care Units at 25 public hospitals across the country have remained non-functional or partially operational over the last few months largely due to a manpower crisis, depriving many critically ill patients of life-saving care.

11h ago