‘না আছে রাজনীতিক-না আছে সাংবাদিকদের অধিকার, এটাকে সরকার গণতন্ত্র বলে’

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা অনেক দিন আগে থেকেই বলে আসছি দেশে মানুষের কোনো অধিকার নেই। না আছে নাগরিকদের অধিকার, না আছে রাজনীতিবিদদের অধিকার-না আছে সাংবাদিকদের অধিকার— এটাকে বর্তমান সরকার গণতন্ত্র বলে।’
Fakhrul_Thakurgaon_18May21.jpg
আজ মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: স্টার

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা অনেক দিন আগে থেকেই বলে আসছি দেশে মানুষের কোনো অধিকার নেই। না আছে নাগরিকদের অধিকার, না আছে রাজনীতিবিদদের অধিকার-না আছে সাংবাদিকদের অধিকার— এটাকে বর্তমান সরকার গণতন্ত্র বলে।’

আজ মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রোজিনা ইসলাম তার অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য এর মধ্যে দেশে ও বিদেশে খ্যাতি লাভ করেছেন। সত্যটাকে বের করে এনে জনগণের সামনে তুলে ধরার যে দায়িত্ব, তা তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে আসছেন। বিশেষ করে করোনাকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের দুর্নীতিগুলোকে তিনি জনসম্মুখে নিয়ে এসেছেন। এ অপরাধেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে।’

তিনি বলেন, ‘সচিবালয়ের মতো জায়গায় একজন উঁচুমানের সাংবাদিককে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আটকে রেখে মানসিক-শারীরিক নির্যাতনের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা কল্পনা করা যায় না। সত্য প্রকাশের জন্য নির্যাতন এটি প্রথম কোনো ঘটনা নয়, এর আগেও অনেক সাংবাদিককে নির্যাতন করা হয়েছে। অনেককে কারাবরণ করতে হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে। প্রায় ৫০ জনের সাংবাদিক দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট দিয়ে সাংবাদিকদের লেখা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এগুলো বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা ধ্বংস করার নীল নকশা।’

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago