কানাডার কাছে ২০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন চেয়েছে বাংলাদেশ

কানাডার কাছে জরুরিভিত্তিতে ২০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশে। ভারত থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাওয়ায় চলমান টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে এই ভ্যাকসিন চাওয়া হয়।
কানাডার কাছে জরুরিভিত্তিতে ২০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আজ মঙ্গলবার কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোইত প্রিফন্টাইনের কাছে এ অনুরোধ করেন। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার কাছে জরুরিভিত্তিতে ২০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশে। ভারত থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাওয়ায় চলমান টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে এই ভ্যাকসিন চাওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোইত প্রিফন্টাইন মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে এই মুহূর্তে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দ্বিতীয় ধাপের টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে জরুরিভিত্তিতে ১৬ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রয়োজন।

তিন কোটি ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ। তবে মাত্র এক কোটি দুই লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে। এরপর ভারতের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হলে সেখানে ভ্যাকসিনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ রেখেছে ভারত।

এর আগে কানাডার পাবলিক সার্ভিস ও প্রকিউরমেন্ট মন্ত্রী অনিতা আনন্দ জানিয়েছিলেন, তাদের কাছে থাকা অতিরিক্ত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বিতরণ করবে।

মোমেন অনিতা আনন্দের বক্তব্যের উল্লেখ করে কানাডিয়ান কূটনিতিককে অনুরোধ জানান, বাংলাদেশ যেন কানাডা থেকে জরুরিভিত্তিতে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে। 

এই ভ্যাকসিন কানাডার কোভ্যাক্স কর্মসূচির মাধ্যমে না পাঠিয়ে, পাকিস্তানে যেভাবে সরাসরি পাঠানো হয়েছিল, বাংলাদেশেও সেভাবে পাঠানোর কথা বলেন। এছাড়া কানাডা চাইলে বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের আলাদাভাবে টিকা দিতে সহায়তা করতে পারে বলেও জানান।

বাংলাদেশে ইতোমধ্যে চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকেও ভ্যাকসিন সংগ্রহের চেষ্টা করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবের উত্তরে কানাডিয়ান হাইকমিশনার নিশ্চিত করেন, তিনি তার সরকারের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষের কথা জানাবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধার মেয়াদ বাড়ানো এবং শিগগিরই মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) ও প্রিফারেনশিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) বিষয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশের প্রত্যাশার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।

এছাড়া তিনি জানান, বাংলাদেশের প্রত্যাশা কানাডা অচিরেই বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের অভিযুক্ত খুনি নুর চৌধুরীরকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেবে।

বেনোইত প্রিফন্টাইন জানান, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা এবং তাদের আশ্রয় প্রদানকারী সম্প্রদায়কে যেভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে, আগামী তিন বছরও সেভাবেই মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে। এছাড়া, কানাডা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে ইচ্ছুক বলে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করে।

Comments

The Daily Star  | English

Onion prices surge in Dhaka after India’s export ban extension

Retailers were selling the homegrown variety of onion at Tk 204 a kg at Karwan Bazar today, compared with Tk 130 on Thursday

1h ago