অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও গাদাগাদি করে নৌকায় কর্মস্থলমুখী মানুষ
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/186506305_201152078390765_8435008302285582515_n.jpg?itok=C_ZLMdLQ×tamp=1621503643)
নির্ধারিত ৮০ টাকা ভাড়ার পরিবর্তে জনপ্রতি ২০০ টাকা দিয়েও গাদাগাদি করেই নৌকায় ব্রহ্মপুত্র পারি দিতে হচ্ছে কর্মস্থলমুখী মানুষকে। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্রপাড়ে চিলমারী নৌ-বন্দরে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাউকে শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে দেখা যায়নি। অনেকের মুখে মাস্কও নেই।
কর্মস্থলমুখী মানুষ এই রুটে নৌকায় রৌমারী ও রাজীবপুরসহ অন্যান্য গন্তব্যে যান। সেখান থেকে ইজিবাইক বা অন্য উপায়ে যান জামালুপর বা ময়মনসিংহ। তারপর সেখান থেকে কেউ কেউ ঢাকায় যাচ্ছেন।
চিলমারী নৌ-বন্দরে মহিবুল ইসলাম নামে এক চাকরিজীবী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। আমাকে যেকোনো উপায়ে ঢাকায় পৌঁছতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে চাকরি হারানোর আশঙ্কা আছে।’
‘নৌকায় ব্রহ্মপুত্র পারি দিয়ে রৌমারী যাব। সেখান থেকে ভেঙে ভেঙে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি,’ যোগ করেন তিনি।
শামুসল ইসলাম নামে এক কর্মজীবী ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা নিরুপায়। তাই গাদাগাদি করে নৌকায় বহ্মপুত্র পারি দিতে হচ্ছে। করোনা মহামারি নিয়ে ভয় আছে। কিন্তু কিছুই করার নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব যাতে বজায় রাখা হয় সেজন্য অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েছি। কিন্তু, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এর কোনো বালাই নেই।’
মোহর আলী নামে একজন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘করোনার কথা বলে নির্ধারিত ৮০ টাকার পরিবর্তে জনপ্রতি ২০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। চিলমারী নৌ-বন্দর দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের মধ্যে কোনো সচেতনতা দেখছি না। বন্দর ইজারাদারকেও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখছি না।’
চিলমারী নৌ-বন্দর ইজাদারের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কর্মস্থলমুখী মানুষের ভিড় থাকায় তাদেরকে গাদাগাদি করেই নৌকায় ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দিতে হচ্ছে।’
তিনি জানিয়েছেন, সাধারণত একটি নৌকায় ৮০ থেকে ১০০ যাত্রী চলাচল করেন। এখন সেখানে দুই শতাধিক যাত্রী চলাচল করছেন।
এই বন্দর থেকে প্রতিদিন ৫০টি নৌকা রৌমারী, রাজীবপুর, জামালপুর, গাইবান্ধা, সুন্দরগঞ্জ, যাত্রাপুর, নাগেশ্বরী ও ফুলছড়ি রুটে চলাচল করে বলে জানিয়েছে বন্দরের সংশ্লিষ্ট সূত্র।
চিলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে পুলিশ সদস্যরা সেখানে গিয়ে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি হ্যান্ডমাইক দিয়ে প্রচারণা চালিয়েছে। কিন্তু যখনই পুলিশ সদস্যরা চলে আসেন তখনই এর ব্যত্যয় ঘটতে শুরু করে।’
‘বন্দরে এখন কর্মস্থলমুখী মানুষের সংখ্যা অনেক। সেখানে আইন প্রয়োগ করা কঠিন,’ যোগ করেন তিনি।
Comments