বসুরহাটের ঘটনায় স্পেন ছাত্রলীগ সভাপতির মানহানি মামলা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সালেকিন রিমনের বিরুদ্ধে স্পেন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইসমাইল হোসাইন রায়হানের মানহানির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সকালে বসুরহাট পৌর শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন স্বপন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। প্রধান আসামি সালেকিন রিমন উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হায়দার মিয়ার ছেলে। অপর দুই আসামি হামিদুর রহমান শান্ত ও জাকের হোসাইনও কোম্পানীগঞ্জের বাসিন্দা।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার অনুসারী ইসমাইল হোসাইন রায়হান পাঁচ বছর আগে শিক্ষার্থী হিসেবে স্পেনপ্রবাসী হন এবং প্রবাসী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্রলীগ গড়ে তুলেন। রায়হানও একই উপজেলার বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৬ এপ্রিল ছাত্রলীগ নেতা সালেকিন রিমন ফেসবুক লাইভে এসে প্রবাসী ছাত্রলীগ নেতা রায়হানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করেন। এরপর হামিদুর রহমান শান্ত ও জাকের হোসাইনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে রিমনের ফেসবুক লাইভের সূত্রে মিথ্যা, কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন তথ্য তুলে ধরে রায়হানের বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়া হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ‘স্পেন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইসমাইল হোসাইন রায়হানের মানহানির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। খুব দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
একজন প্রবাসী হিসেবে ইসমাইল হোসাইন রায়হান সুবিচার চেয়ে স্পেনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছেও আবেদন করেছেন। এই বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মুহাম্মদ মুতাসিমুর ইসলাম জননিরাপত্তা সচিব বরাবর চিঠি দিয়ে রায়হানের ৮ পাতার অভিযোগ ও প্রমাণাদি পাঠিয়েছেন।
রায়হান বলেন, ‘রিমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাদের মির্জা এবং আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে। নোংরা ভাষায় অনেক অশালীন বিষয় অবতারণা করছে, যা সত্যিই নিন্দনীয়। আমি স্পেনে থাকার কারণে মেয়র কাদের মির্জার সহযোগিতায় শ্রমিক লীগ নেতা স্বপনকে দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করি। প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ, আসামিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক, যেন কোনো প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা এমন হয়রানির স্বীকার না হয়।’
উল্লেখ্য, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের বিগত পাঁচ মাস ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছে। এর জের ধরে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। এখনো অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা পাল্টা মামলায় অনেক নেতা-কর্মী এখনো কারাগারে আছেন।
লেখক: স্পেনপ্রবাসী সাংবাদিক
Comments