অনুমিতভাবেই তিনে ফিরছেন সাকিব
ঘরের মাঠে সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে ব্যাটিং অর্ডারের চারে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে। যে তিন নম্বর পজিশন তার সবচেয়ে পছন্দের এবং যেখানে তিনি সবচেয়ে ধারাবাহিক, সেই জায়গাতে খেলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
কিন্তু উইন্ডিজের বিপক্ষে হতাশ করেছিলেন দারুণ সম্ভাবনাময় ব্যাটসম্যান শান্ত। তিন ম্যাচের সিরিজে তিনি খেলেছিলেন যথাক্রমে ১, ১৭ ও ২০ রানের ইনিংস। এমন বিবর্ণ পারফরম্যান্সের জেরে নিউজিল্যান্ড সফরের সীমিত ওভারের সিরিজের স্কোয়াডে থাকলেও কোনো ওয়ানডেতে খেলা হয়নি তার।
ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ তিন নম্বর পজিশনে কিউইদের মাটিতে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট খেলিয়েছিল সৌম্য সরকারকে। কারণ, ওই সফর থেকে ছুটি নিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে আগের সিরিজে সাতে খেলার জন্য বিবেচিত হওয়া সৌম্য উপরে সুযোগ পেয়েও বন্দি ছিলেন ব্যর্থতার বৃত্তে। তার ব্যাট থেকে এসেছিল যথাক্রমে ০, ৩২ ও ১ রান।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটির জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দলে সৌম্য টিকে গেলেও নেই শান্ত। অবধারিতভাবে ফিরেছেন আইপিএল খেলে আসা তারকা অলরাউন্ডার সাকিব। আর তাকেই তিন নম্বর পজিশনে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
শুক্রবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই বাঁহাতি ওপেনার বলেছেন, ‘সাকিব তিন নম্বরে ব্যাট করবে।’
প্রিয় পজিশনে ফেরা সাকিবকে ঘিরে তার প্রত্যাশা অনেক, ‘প্রত্যাশা অবশ্যই বেশি থাকবে। তবে মনে রাখতে হবে, সাকিব বিশ্বকাপে যা করেছে, সেটা ব্যতিক্রমী। আমি তো চাইব, প্রতি ম্যাচেই অমন হোক, সেও চাইবে। তবে এটা তো প্রতি ম্যাচে সম্ভব না। একটা ছেলে ৮-৯ ম্যাচে ৬০০ রান করে ফেলেছে, এটা তো আসলে সচরাচর দেখি না।... দুশ্চিন্তার ব্যাপার নেই। আমি নিশ্চিত, সে ভালো করবে।’
সবশেষ ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে তিন নম্বরে অবিস্মরণীয় পারফরম্যান্স দেখিয়ে রেকর্ডের পাতায় ঠাঁই নেন সাকিব। ৮ ম্যাচে ৮৬.৫৭ গড়ে তিনি করেন ৬০৬ রান। পাঁচটি হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে তার সেঞ্চুরি ছিল দুটি। কেবল একটি ম্যাচেই তিনি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলতে পারেননি।
পরিসংখ্যান বিবেচনায় বাংলাদেশের ইতিহাসে এই পজিশনে সবচেয়ে সফল সাকিব। সবমিলিয়ে ২৩ ম্যাচে ৫৮.৮৫ গড়ে তিনি করেছেন ১১৭৭ রান। তিন নম্বরে তার স্ট্রাইক রেটও অন্যান্য পজিশনের চেয়ে বেশি, ৮৮.৭৬।
উল্লেখ্য, লঙ্কানদের বিপক্ষে শান্তকে তিনে খেলানো নিয়ে তর্ক-বিতর্ক কম হয়নি। বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো অবশ্য দিয়েছিলেন ব্যাখ্যা। সেসময়ে শান্তর ছন্দে থাকার কথা উল্লেখের পাশাপাশি তরুণ ক্রিকেটারদের গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছিলেন তিনি। কিন্তু দুটি সিরিজ পেরোতেই শান্ত পড়েছেন বাদ।
Comments