আরও ৯ ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন
জরুরি মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য আরও নয়টি ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। দুই সপ্তাহের ছুটি শেষে আগামীকাল থেকে আদালত পুনরায় খোলার আগে আজ শনিবার এ নয়টি বেঞ্চ গঠন করা হলো।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায়, এই নয়টি বেঞ্চসহ হাইকোর্টের মোট ১৬টি বেঞ্চ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোববার থেকে বিচারকাজ পরিচালনা করবেন। তবে পরবর্তী নোটিশ না আসা পর্যন্ত আগাম জামিন আবেদনের বিষয়ে এসব বেঞ্চে কোনো শুনানি হবে না।
প্রধান বিচারপতির জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শনিবার গঠিত নয়টি বেঞ্চের মধ্যে ছয়টি ডিভিশনাল (দুই বিচারক) বেঞ্চ এবং তিনটি একক (এক বিচারক) বেঞ্চ।
ডিভিশনাল বেঞ্চগুলো হলো--বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের বেঞ্চ, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিক ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের বেঞ্চ, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ, বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের বেঞ্চ এবং বিচারপতি শহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বেঞ্চ।
একক বেঞ্চগুলোর বিচারপতিরা হলেন--বিচারপতি মাহমুদুল হক, বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি আ স ম আবদুল মবিন।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ও এর চেম্বার বেঞ্চ আগের মতো ভার্চুয়ালি বিচার কাজ করবে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে অভিযুক্ত বা অভিযুক্তদের হাজির করে ফৌজদারি মামলায় আত্মসমর্পণের বিষয়ে শুনানি করা যাবে। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মহানগর হাকিম, মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল ও সাইবার ট্রাইব্যুনাল স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।
অভিযুক্তদের জামিনের জন্য আদালতের সশরীরে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
Comments