আ. লীগ সভাপতির ওপর হামলার মামলায় পৌর কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার মামলার প্রধান আসামি মো. রাসেলকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাড়ী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মো. রাসেল বসুরহাট পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহচর।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রাসেলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানায় করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মে রাতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান (৭১) ব্যাটারি চালিত অটো রিকশাযোগে বাড়ি থেকে বসুরহাট বাজারে আসছিলেন। পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কেরানীর পোল এলাকায় পৌঁছালে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রাসেলের নেতৃত্বে ৮-১০ জন খিজির হায়াতের রিকশার গতিরোধ করে তাকে রিকশা থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় খিজির হায়াত খান বাদী হয়ে ওই রাতেই কাউন্সিলর রাসেলকে প্রধান আসামি করে দুই জনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
খিজির হায়াত খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কাদের মির্জার নির্দেশে কাউন্সিলর রাসেল তার লোকজন নিয়ে রাতের আঁধারে আমার ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল।'
এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার সঙ্গে কথা বলার জন্য তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করলে মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী সিরাজুল ইসলাম সিন্টুর ফোন রিসিভ করে বলেন, 'মেয়র একটি পারিবারিক বৈঠকে ব্যস্ত আছেন। তিনি এখন কথা বলতে পারবেন না।'
Comments