পাঁচ-ছয়ে ব্যাট করার ইচ্ছা সাইফুদ্দিনের
অনেকদিন ধরেই একজন পেস অলরাউন্ডারের খোঁজ বাংলাদেশের। সেই জায়গা নিতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তবে বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়ে এখনো নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। সাইফুদ্দিন চান ব্যাটসম্যান সত্তাকেও সমানভাবে সামনে আনতে। সেজন্য মিডল অর্ডারে ব্যাট করার ইচ্ছা তার।
বাংলাদেশের ওয়ানডে একাদশে আট নম্বরে ব্যাট করার সুযোগ মেলে সাইফুদ্দিনের। নিচের দিকে নেমে তার বেশিরভাগ সময়েই করার থাকে সামান্য। ডানহাতি পেস বোলিংয়ের সঙ্গে বাঁহাতি ব্যাটিং প্যাকেজে তার স্বপ্নটা বেশ বড়।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে আটে নেমে ৯ বলে করেন অপরাজিত ১৩। আরও আগে সুযোগ পেলে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পাবেন বেশি। সেই আকাঙ্খা থেকে তার ইচ্ছা মিডল অর্ডার। যদিও বর্তমান দলের বাস্তবতা বুঝেন তিনি, ‘অবশ্যই দল যেভাবে চাইবে সেভাবেই প্রস্তুত। সেটা আট নম্বর হোক বা সাত নম্বরে হোক। ব্যক্তিগতভাবে আমাকে প্রশ্ন করা হলে পাঁচ-ছয় নম্বরে ব্যাট করতে চাই। যদিও এটা সম্ভব না দলের সমন্বয়ের কারণে। অনেক অভিজ্ঞ বড় ভাইরা আছেন। যদি ধারাবাহিকভাবে খেলতে থাকতে পারি ইনশাআল্লাহ সুযোগ আসবে।’
লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বোলিংয়েই মূল কাজটা করেছেন তিনি। বিপর্যস্ত পরিস্থিতি থেকে দাসুন শানাকা-ওয়েইন্দু হাসারাঙ্গার জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। ৪০ বলে ৪৭ রানের জুটির পর ব্রেক শানাকে বোল্ড করে ব্রেক থ্রো আনেন সাইফুদ্দিন।
পরে ৬০ বলে ৭৪ করে বাংলাদেশকে ভয় ধরানো বিপদজনক হাসারাঙ্গাকেও আউট করেন তিনি। নিশ্চিত করেন বাংলাদেশের জয়। ১০ ওভার বল করে ৪৯ রানে এই দুই উইকেট নিয়ে রাখেন দারুণ অবদান। দ্বিতীয় ম্যাচের আগের দিন বললেন, হাসারাঙ্গাকে আগে থেকে চেনায় সুবিধা করতে পেরেছেন কিছুটা, ‘মন থেকে চাচ্ছিলাম (ভাল কিছু করতে)। এফোর্ট দিচ্ছিলাম যতটা পারি নিজের থেকে। এটা বাংলাদেশের জয়ের খুব দরকার ছিল। সেটা ভূমিকা রাখতে পেরেছি। এজন্য নিজে খুব খুশি। হাসারাঙ্গার সঙ্গে যুব দলের বিশ্বকাপ খেলেছি। কিছুটা হলেও ওকে চিনি। অবশ্যই ভালো ব্যাটিং করেছে। উইকেট বুঝে ফিল্ডিং সেট আপ করে ওর উইকেট নিতে পেরে খুশি।’
Comments