ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে প্রস্তুত ৬০২ সাইক্লোন শেল্টার
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে ৬০২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে নোয়াখালীতে ৩৯৩টি ও লক্ষ্মীপুরে ২০৯টি সাইক্লোন শেল্টার আছে। এ ছাড়া, দুর্যোগের আগে ও পরে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে দুই শতাধিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
আজ সোমবার নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির ভার্চুয়াল সভা শেষে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম ও লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তারা জানান, এ সময় জেলা-উপজেলা প্রশাসন, জেলা-থানা পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগের হটলাইন নম্বরগুলো ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে।
সভা শেষে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, ‘প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জেলার ৩৯৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগের আগে ও পরে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ১০৯টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দুর্যোগের সময় উপকূলীয় বাসিন্দাদের জন্য ৩০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ দুই কোটি ৪৪ লাখ টাকা, শিশুখাদ্যের জন্য নয় লাখ টাকা ও গো-খাদ্যের জন্য নয় লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও, ৩০০ মেট্রিক টন চাল ও ১৪ লাখ টাকা মজুত রাখা হয়েছে।’
লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন জানান, উপকূলীয় এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। দুর্যোগের সময় মেঘনা উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ২৭৯ মেট্রিকটন চাল, ২৪ লাখ টাকা, শিশুখাদ্যের জন্য নয় লাখ ও গো খাদ্যের জন্য ১৩ লাখ টাকা মজুত রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মেঘনা নদী উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর। নোয়াখালীর হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ এবং লক্ষ্মীপুরের সদর, রায়পুর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলা মেঘনা নদী ঘিরে আছে। যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ অঞ্চলগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে।
Comments