ট্রাম্পের অপরাধ তদন্তে গ্র্যান্ড জুরি প্যানেল

donald trump
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: ফাইল ফটো

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক আইনে বিচার শুরু হবে কি না, তা নির্ধারণে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের প্রসিকিউটর গ্র্যান্ড জুরি প্যানেল আহ্বান করেছেন।

মার্কিন সংবাদপত্র দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের বরাত দিয়ে আজ বুধবার সিএনএন এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে জানায়, এই জুরি প্যানেলের আহ্বায়ক ম্যানহাটন ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি সাইরাস ভ্যান্স। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, জুরি প্যানেল আগামী ছয় মাসে প্রতি সপ্তাহে তিন দিন সভায় মিলিত হয়ে নথিপত্র পরীক্ষা করবেন। রাষ্ট্রপক্ষের কথা শুনবেন। আর তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ট্রাম্প ও তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অভিযোগ আনা হবে কি না- সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

সিএনএন জানায়, ওয়াশিংটন পোস্টে প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার পর তারা ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। অবশ্য ট্রাম্প আগেই তার বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্তের এই প্রক্রিয়াকে ‘ভূত খোঁজার’ আরেকটি প্রচেষ্টা বলে বিবৃতি দেন।

আর এ ব্যাপারে ম্যানহাটন ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি কার্যালয়ও সিএনএনের কাছে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি ও তার দল দুবছরের বেশি সময় ধরে  ট্রাম্পের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে তদন্ত করছেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থাতেই যা শুরু হয়।  ট্রাম্পের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকঠাক কর দিয়েছে কি না, ঋণদাতা ও বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পদের মূল্য সঠিকভাবে দেওয়া হয়েছে কি না- এসবই তদন্তে দেখার বিষয়।

ওয়াশিংটন পোস্টের বরাত দিয়ে সিএনএন আরও জানায়, ট্রাম্পের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর লাখ লাখ পাতার নথিপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে।

প্রাথমিক অবস্থায় ট্রাম্প তার করসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি ও তার দলের কাছে ট্রাম্পের করবিবরণী হস্তান্তর করার বিষয়টি আদলত পর্যন্ত গড়ায়।

সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্তের আওতায় ট্রাম্প টাওয়ার, সেভেন স্প্রিং নামের তার একটা পারিবারিক এস্টেট, শিকাগোর একটি হোটেল ও কন্ডো টাওয়ারের মতো বিষয়গুলো রয়েছে।

এ ছাড়া তদন্তের আওতায় পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ট্রাম্প অর্থ দিয়েছিলেন কি না, সে বিষয়টিও আছে।

প্রথমে ট্রাম্পের বিষয়ে সিভিল আইনে তদন্ত শুরু হয়। পরে নিউইয়র্কের ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি লিটিশিয়া জেমস জানান, তদন্ত অপরাধ আইনে গড়িয়েছে।

নিউইয়র্ক ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি কার্যালয়ের মুখপাত্র ফাবিয়েন লেবি বলেন, অপরাধ আইনে তদন্তের বিষয়টি ট্রাম্প অর্গানাইজেশনকে জানানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago