বরগুনায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ২ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে বরগুনার বিভিন্ন এলাকার অন্তত ২০টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আজ বুধবার সকালের স্ফীত জোয়ারের পানিতে এসব গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওইসব এলাকার লক্ষাধিক পরিবার।
বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়ছার আলম এসব তথ্য দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, জেলার প্রধান তিনটি নদী পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালীতে বিপৎসীমার ১২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে তিন দশমিক ৫৮ মিটার উচ্চতায় জোয়ারের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ও রাতে বিপৎসীমার ১০৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হয়।
বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের লতাকাটা এলাকার বাসিন্দা সরোয়ার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মঙ্গলবার রাতে জোয়ারের চাপে আমাদের এলাকার বেড়িবাঁধ উপচে গ্রামে পানি প্রবেশ করে। আর আজ সকালে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে আমাদের এলাকার পাঁচ হাজারের বেশি পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।'
সদর উপজেলার আয়লা-পাতাকাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা দুলাল বলেন, 'পায়রার নদীর জোয়ারের চাপে মঙ্গলবার সকালে আমাদের এলাকার অন্তত ৩০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। সেই থেকে দিনে দুইবার এ এলাকার ১২ গ্রাম প্লাবিত হয়।'
বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়ছার আলম বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আগেই বরগুনায় ২৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ারের চাপে এসব বাঁধ দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করে গ্রাম
প্লাবিত হয়েছে। আমরা এসব ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের জন্য কাজ শুরু করেছি।'
যোগাযোগ করা হলে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে ক্ষয়ক্ষতির
পরিমাণ নিরূপণে ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি।'
দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা মজুত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'ইতোমধ্যেই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও
পরিবারের তালিকা প্রস্তুতের কাজও শুরু করেছি। এটা সম্পন্ন হলে তাদেরকে সহায়তা দেওয়া হবে।'
Comments