র‍্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে ওঠার কথা কখনো ভাবেননি মিরাজ

সবশেষ প্রকাশিত আইসিসি ওয়ানডে বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে ওঠার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এই অফ-স্পিনিং অলরাউন্ডার।
Mehedi hasan Miraz
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

অভিষেক টেস্ট সিরিজে বল হাতে রেকর্ড গড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সময়ের পরিক্রমায় তিনি এখন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলেরও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সবশেষ প্রকাশিত আইসিসি ওয়ানডে বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে ওঠার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এই অফ-স্পিনিং অলরাউন্ডার। পাশাপাশি এই অর্জনের পেছনের গল্পের কিছু অভিজ্ঞতাও ভাগাভাগি করেছেন তিনি।

বুধবার আইসিসির হালনাগাদ করা র‍্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগিয়েছেন মিরাজ। তিনি অর্জন করেছেন ক্যারিয়ারসেরা ৭২৫ রেটিং পয়েন্ট। ৭৩৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তার উপরে আছেন কেবল নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। বাংলাদেশের হয়ে এর আগে ওয়ানডে বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দুইয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন মোটে দুজন। ২০০৯ সালে সাকিব আল হাসান উঠেছিলেন শীর্ষে। পরের বছর সাবেক তারকা স্পিনার ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক দখল করেছিলেন দ্বিতীয় স্থান।

ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করেছেন মিরাজ। প্রথম ওয়ানডেতে ৩০ রান খরচায় পান ৪ উইকেট। আর সিরিজ জয়ের ম্যাচে ২৮ রানে নেন ৩ উইকেট। এমন অসাধারণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে পাওয়া নিশ্চিতই ছিল তার। 

বিসিবির হোয়্যাটসঅ্যাপ মিডিয়া গ্রুপে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় মিরাজ বলেছেন, এই সাফল্য তার কাছে আশাতীত মনে হচ্ছে, ‘আমার কাছে খুব ভালো লাগছে র‍্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে আসতে পেরে। কারণ, আমি কখনো ভাবিনি যে, ওয়ানডে ক্রিকেটে বোলিংয়ে দুই নম্বরে আসব।’

টেস্টে নজর কেড়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নামডাক পেলেও সব সংস্করণে খেলার ইচ্ছা মিরাজের শুরু থেকেই ছিল। সঙ্গে ছিল দলের জন্য অবদান রাখার বাসনা, ‘আমি যখন টেস্ট ক্রিকেট শুরু করেছিলাম, আমি তখন কেবল টেস্ট বোলারই ছিলাম। কিন্তু আমার কাছে একটা জিনিস মনে হতো যে, আমি কেবল টেস্ট ক্রিকেট খেলব না, সব ফরম্যাটেই খেলব এবং আমি যেন সফলতার সঙ্গে খেলতে পারি। আমি যখন ওয়ানডে ক্রিকেট শুরু করলাম, তখন থেকে আমার চিন্তা ছিল যে, আমি কীভাবে দলের জন্য আবদান রাখতে পারি এবং নিজে পারফর্ম করতে পারি।’

৪৯ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে মিরাজের ইকোনমি রেট ৪.৪২। এই যুগে এমন আঁটসাঁট বোলিং করা কেউ অবশ্যই দাবি রাখেন কৃতিত্বের। তিনি বলেছেন, দলে জায়গা পাকা রাখতে যতটা সম্ভব কম রান দেওয়ার প্রতি মনোযোগী তিনি, ‘আমি যে জায়গায় ফোকাস করেছিলাম যে, ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে হলে আমার ইকোনমি ঠিক রাখতে হবে। আমি যদি ইকোনমি ঠিক রাখি, তাহলে আমার দলে খেলার সুযোগ বেশি থাকবে এবং আমি যদি পরিস্থিতি ও দলের পরিকল্পনা অনুসারে খেলতে পারি, তাহলে দলের জন্যও ভালো হবে আর আমার জন্যও ভালো হবে।’

বাড়তি চিন্তায় মাথাব্যথা না বাড়িয়ে ছোট ছোট ও নির্দিষ্ট পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্রমাগত উন্নতির কথাও জানিয়েছেন মিরাজ, ‘আমি খুব বেশি কিছু নিয়ে চিন্তা করিনি। আমি ছোট ছোট বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার চিন্তা করেছি। কোন জায়গায় উন্নতি করলে আমি ধারাবাহিকভাবে ম্যাচ খেলতে পারব এবং দলের সাহায্যে লাগব, সেগুলো নিয়ে আমি কাজ করেছি এবং আমার কোচের সঙ্গে কথা বলেছি।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago