২৭ মে ১৯৭১: গণহত্যা, নিপীড়ন, ধর্ষণ নিয়ে গার্ডিয়ানে চিঠি প্রকাশ
১৯৭১ সালের ২৭ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নয়াদিল্লীতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘পূর্ববাংলা থেকে আগত শরণার্থীদের জন্য ভারতের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’ তিনি এসময় পাকিস্তান সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন।
এদিন পাকিস্তানি সামরিক প্রশাসন ৫১নং সামরিক বিধির আওতাভুক্ত বইপত্র, পোস্টার, লিফলেট, ইত্যাদি আপত্তিকর জিনিস সামরিক দফতরে দ্রুত জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়। এদিন ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আগা হিলালী বলেন, 'ভারত এখন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যাকে আন্তর্জাতিকীকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। এর ফল কখনোই শুভ হবে না।' এদিন ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বাংলাদেশে চলমান হানাদারদের নৃশংসতা, নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ও চরম পৈশাচিক নির্যাতনের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে কলকাতায় ধর্মীয় নেতা রেভারেন্ড জন ক্ল্যাপহাম ও রেভারেন্ড জন হ্যাস্টিংসের একটি চিঠি প্রকাশ করে। এদিন প্রভাবশালী মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ও ভারতে অবস্থানরত বাঙালি শরণার্থীদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আবেদন জানান। দেশজুড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদিনও গণহত্যা, নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণ চলমান রাখে। দেশের বহু জায়গায় পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে যুদ্ধ হয় মুক্তিবাহিনীর।
নয়াদিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধীর বক্তব্য
২৭ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, 'পূর্ববাংলা থেকে আগত শরণার্থীদের জন্য ভারতের অর্থনৈতিক, সামজিক ও রাজনৈতিক জীবনে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, এই মুহূর্তে শরণার্থী ও উদ্বাস্তু সমস্যা ভারতের জন্য বিরাট বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তান সরকার যেভাবে পূর্ববঙ্গের পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে তাতে কেবল ভারতের নয়, গোটা অঞ্চলের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। আমি উপমহাদেশের শান্তির প্রতি এই হুমকি সম্পর্কে সজাগ থাকার জন্য বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের প্রতি আবেদন জানাই। মনে হয় পূর্ববঙ্গের পরিস্থিতি সম্পর্কে বৃহৎ শক্তিগুলোর প্রতিক্রিয়া যথেষ্ট নয়। যদি এ ব্যাপারে দৃষ্টি না দেয়া হয় তাহলে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো বজায় রাখার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা বাধ্য হবো।
২৭ মে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত আওয়ামী লীগের একটি বক্তব্য বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই বক্তব্যে মূলত ইয়াহিয়া খানের বিশেষ দূতের একটি প্রস্তাবের ফর্মুলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্রের বিবৃতি নিয়ে পাল্টা জবাব দেয়া। যেখানে আওয়ামী লীগ কর্তৃক ঘোষিত হয়েছে এখন আর কোন ধরনের আলোচনা হতে পারে না। আর বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের পক্ষেও তা মানা সম্ভব নয়। কারণ এখন বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ।
মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির বিবৃতি
২৭ মে মার্কিন সিনেটের উদ্বাস্তু সংক্রান্ত সাব-কমিটির চেয়ারম্যান প্রভাবশালী মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ও ভারতে অবস্থানরত বাঙালি শরণার্থীদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আবেদন জানান। তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে উদ্বাস্তু সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই সমস্যা সমাধানে বিশ্বের সকল দেশের এগিয়ে আসা উচিত। এসময় তিনি স্থিতিশীল পরিস্থিতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর প্রতি এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানী রাষ্ট্রদূতের বিবৃতি
২৭ মে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আগা হিলালী ওয়াশিংটনে এক বিবৃতিতে বলেন, 'ভারত এখন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যাকে আন্তর্জাতিকীকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। ভারত এখন পাকিস্তান ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ভারতের উচিত পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানো।'
ঢাকায় এদিন
২৭ মে পাকিস্তানি সামরিক প্রশাসন ৫১নং সামরিক বিধির আওতাভুক্ত বইপত্র, পোস্টার, লিফলেট, ইত্যাদি আপত্তিকর জিনিস সামরিক দফতরে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়। এই আইনে আদেশ অমান্যের শাস্তি ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড রাখা হয়েছিল।
২৭ মে কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি মুক্তিযুদ্ধের জন্য কয়েকটি দল মিলিত হয়ে জাতীয় ফ্রন্ট গঠনের অনুরোধ জানায়। তাদের ওই প্রস্তাবে তারা বলে, আওয়ামী লীগ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি মিলে একটি জাতীয় ফ্রন্ট গঠন হতে পারে। এই ফ্রন্টের জন্য বেশ কয়েকটি প্রস্তাবও হাতে নেয়া হয়। যেখানে বঙ্গবন্ধু ও রাজবন্দীদের মুক্তি অন্যতম প্রস্তাব হিসেবে বিবেচিত হবে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ চিঠি ও সাক্ষাৎকার
প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত চিঠি
কলকাতার সদর স্ট্রিট মেথোডিস্ট চার্চের রেভারেন্ড জন হ্যাস্টিংস ও রেভারেন্ড জন ক্ল্যাপহ্যাম যৌথভাবে দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশের জন্য সম্পাদককে চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন। ইংরেজিতে প্রকাশিত চিঠিটির বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায়-
মাননীয় সম্পাদক,
'অল্প সময়ে দারুণ রিপোর্টের জন্য ছুটতে থাকা কোনো প্রতিবেদক আমরা নই। আমরা দুজনেই ২০ বছর ধরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায় বাস করছি। এখানে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে আমরা শত শত সাধারণ শরণার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি। পূর্ব পাকিস্তানে কী ঘটছে তার একটি ছবি আজ আমাদের কাছে সন্দেহাতীতভাবে পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। ফায়ারিং স্কোয়াড থেকে নেহাত স্রেফ ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া অনেকেই এখানে আছেন। শত শত সাক্ষী আছেন, যারা নিজ চোখে মেশিনগানের গুলিতে হত্যা করতে দেখেছেন নিজের স্বজনকে, যার মধ্যে আছেন রাজনৈতিক নেতা, অধ্যাপক, চিকিৎসক, শিক্ষক ও ছাত্ররাও। দিনের আলোতে কিংবা রাতের অন্ধকারে যখন খুশি গ্রাম ঘেরাও করা হয়েছে, ভীতসন্ত্রস্ত গ্রামবাসী যে যেখানে সম্ভব পালিয়েছে, নতুবা তাদের যেখানে পাওয়া গেছে, সেখানেই হত্যা করা হয়েছে, কিংবা তাদের মাঠে ধরে এনে রীতিমতো কচুকাটা করা হয়েছে। নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে আর মেয়েদের উঠিয়ে নিয়ে গেছে ব্যারাকে, নিরস্ত্র কৃষকদের লাঠিপেটা করা হয়েছে, কখনো বেয়নেটে দিয়ে খুঁচিয়ে মারা হয়েছে। সাত সপ্তাহ পরও অবস্থা অপরিবর্তিতই রয়ে গেছে। এমনকি সবচেয়ে অবিশ্বাস্য ঘটনা যে - ভীতসন্ত্রস্ত শিশুদের ধরে বেয়নেট দিয়ে খোঁচানো কিংবা নারীদের নগ্ন করে বেয়নেট দিয়ে হত্যা করেছে, শিশুদের শরীরকে টুকরো করেছে। অথচ ওরা এখন বলছে এটি ওদের অভ্যন্তরীণ বিষয়! আমরা হাত কেটে ফেলা মা এবং পা কাটা শিশুও দেখেছি। এসব ঘটনা ঘটেছে সীমান্ত থেকে বেশ কিছুটা দূরে। আহতদের বুলেটের ক্ষতগুলোতে গ্যাংগ্রিন হয়ে গেছে, অনেকেই চোখের সামনে নিজের মেয়েকে ধর্ষিত হতে দেখেছেন এবং তাদের শিশুদের মাথা গুঁড়িয়ে যেতেও দেখেছেন। কেউ দেখেছেন স্বামী, সন্তান ও নাতিকে কবজিতে বেঁধে গুলি করতে। এটিই ছিলো কর্মক্ষম পুরুষদের শেষ করে দেয়ার একটি প্রক্রিয়া। কোনো কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধও আজ বনগাঁ হাসপাতালের সেই মেয়েটিকে শান্ত করতে পারবে না, প্রলাপের ঘোরে যে চিৎকার করে কাঁদছে আর বলছে- ‘ওরা আমাদের সবাইকে হত্যা করবে, ওরা আমাদের সবাইকে হত্যা করবে।’ তার পাশেই কাঁপছে আরেকটি মেয়ে- দিনভর ধর্ষণের পর ওরা তার গোপনাঙ্গ বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়েছে। ভারতে আসার পথে প্রায় ৪০০ জনকে মারা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, তাদের ঘেরাও করে হত্যা করা হয়েছে। কেন? পাছে তাদের নির্যাতনের কাহিনী ভারতে পৌঁছে যায় সেজন্য? অথবা শেখ মুজিবের নেতৃত্বে একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে নেয়ার কারণে সে দেশে বসবাস করার অধিকার হারানো তার জন্য? সবচেয়ে ভীতিকর উদ্যোগটি সম্ভবত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা। ফার্স্ট ব্যাটালিয়নে কয়েকজন গুলিবৃষ্টির মধ্য থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছে- গুলি করেছে তারাই, যারা আগের দিন তাদের সঙ্গে এক মেসের বাসিন্দা ছিল, একসঙ্গেই তো ছিল তারা এটা ছিল সমগ্র পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার একেকটি দৃষ্টান্ত। এই নৃশংসতা, এই হত্যাযজ্ঞ কেন? এই ক্রোধ আসলে বছরের পর বছর ধরে সঞ্চিত ঘৃণার ফসল। শোষণ হয়ে উঠেছিল তাদের মজ্জাগত চর্চা। চাল পশ্চিম পাকিস্তান থেকে দ্বিগুণ দামে কিনতে হতো পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে। শেখ মুজিবের অনুসারীরা গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তুত ছিল। ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণ নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়ে ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টিতেই তাকে নির্বাচিত করেছে। ইয়াহিয়া খান ও ভুট্টোর এই ফলাফলের অপমানটা হজম হয়নি। এটা কি এখনো ভারতের সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হবে? এটা অন্য যে কোন দেশের সমস্যার মতোই, ভারতের জন্য তার চেয়ে বেশি কিছু হওয়ার কথা নয়। পশ্চিমারা এখন কী করছে? আসল খেলা তো শেষ হয়ে গেছে। ত্রাণ সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার তহবিল কে দেবে? এর জন্য প্রচারণা চালাবে কে? রাজনৈতিক জটিলতা কি মুখে গজ ঢুকিয়ে দিয়েছে? কোনো সরকার বা কোনো ব্যক্তির কি সেই কণ্ঠস্বর নেই, যা এই অসহায়, বিপর্যস্ত মানুষদের জন্য উচ্চারিত হবে? এমন কোনো বিবেক কি নেই, যা শোনাতে পারবে একটি সৃষ্টিশীল উত্তর!'
পিটিআই সূত্রে ২৭ মে জানা যায় ভারত সরকার পূর্ববঙ্গে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ফ্রান্স সহ প্রভাবশালী দেশগুলোর মাধ্যমে পাকিস্তানের উপর চাপ প্রয়োগ শুরু করেছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক ও বিশেষ দূতদের মাধ্যমে ভারত সরকার ইতিমধ্যে বেশ খানিকটা সফলও হয়েছে। তবে এর মধ্যে যুক্তরাজ্য নিজেরাই স্বতন্ত্রভাবে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছে।
২৭ মে কলকাতায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতা অধ্যাপক কামারুজ্জামান আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা শিক্ষকদের দিয়ে শরণার্থী শিবিরগুলোতে স্কুল কার্যক্রম শুরু করার একটি প্রকল্প গড়ে উঠছে। এই প্রকল্পে মোট দেড় হাজার শিক্ষক পাঠদান করবেন এবং তাদের নিয়মিত মাসিক ভাতা প্রদান করা হবে।
দেশব্যাপী গণহত্যা ও প্রতিরোধ যুদ্ধ
২৭ মে বিকেলে মুক্তিবাহিনীর এক প্লাটুন যোদ্ধা কুমিল্লার শালদা নদীর সিএন্ডবি রাস্তার ওপর পাকিস্তানি হানাদারদের অ্যামবুশ করে। এতে হানাদার বাহিনীর ৯ জন সেনা নিহত হয় এবং একটি জিপ ও একটি ট্রাক ধ্বংস হয়।
২৭ মে কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরীতে মুক্তিবাহিনী ও হানাদার বাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে অজ্ঞাত এক মৌলভীর বিশ্বাসঘাতকতায় ১৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
২৭ মে সাতক্ষীরায় ভেড়ামারা বাঁধে অবস্থানরত মুক্তিবাহিনীর ওপর পাকিস্তানি দুই কোম্পানি সৈন্য দুই বার হামলা চালায়। সারাদিনব্যাপী এই যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর দুই অফিসার নিহত হয় এবং এক কমান্ডিং অফিসার আহত হয়। এসময় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে হানাদার সেনারা পিছু হটে।
২৭ মে মুক্তিযোদ্ধারা কুমিল্লার রাজাপুরে অবস্থানরত পাকিস্তানি হানাদারদের উপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনীর এই অভিযানে ৪ হানাদার সেনা নিহত হয়।
তথ্যসূত্র –
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র সপ্তম, নবম খণ্ড।
দ্য গার্ডিয়ান ২৭ মে ১৯৭১
দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা ২৭ মে ১৯৭১
দৈনিক পাকিস্তান, ২৮ মে ১৯৭১
দৈনিক অমৃতবাজার পত্রিকা, ২৮ মে ১৯৭১
Comments