নির্মাণাধীন হল থেকে পড়ে জাবিতে ১ শ্রমিকের মৃত্যু
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/ju-main-gate-wb.jpg?itok=UOna3zMM×tamp=1619883383)
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন হলের ছয় তলা থেকে পড়ে শাহের আলী (২৫) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ. সম ফিরোজ উল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনা শুনতে পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ২২ নম্বর হলে ঘটনাস্থলে যাই। তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেলে পাঠানোর পর জানতে পারলাম তিনি মারা গেছেন।’
তবে যথাযথ নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় দুর্ঘটনার অভিযোগ উঠেছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান নুরানী কন্সট্রাকশন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তদারকি কমিটির বিরুদ্ধে।
জানতে চাইলে নুরানী কন্সট্রাকশনের ম্যানেজার খোরশেদ আলম খোকন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঈদের আগেই হলের সাত তলার ছাদ ঢালাই হয়েছে। হলের ছয় তলা থেকে উপরের তলার সঙ্গে ক্যানোপি (বেষ্টনী) দেওয়া হয়। আমাদের সব প্রস্তুতিই ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।’
নিহত শ্রমিকের জন্য ক্ষতিপূরণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে জাবির নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আকতার মাহমুদ বলেন, ‘বহুতল ভবন নির্মাণের সময় ভবনের নিজস্ব বেষ্টনী থাকতে হয়। প্রথমেই পেডেস্ট্রিয়ান (পদচারী) ক্যানোপি দিতে হয়। পরে উপর তলাগুলোতে প্রয়োজনীয় বেষ্টনী দিতে হয়। প্রত্যেক শ্রমিককে নিরাপত্তা বেল্ট পরতে হয়। যা দেখভাল করে থাকেন কোম্পানির কর্তৃপক্ষ ও তদারকি কমিটি। এর ব্যত্যয় ঘটলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে।’
এই বিষয়ে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কার্যালয়ের পরিচালক (পিডিও) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘২২ নম্বর হলের ছয় তালা থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জেনেছি।’
শ্রমিকদের নিরাপত্তার বেষ্টনী ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শ্রমিকরা দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ, ফলে আর কিছু ছিল কিনা বলতে পারছি না। তিনি ছয় তলা থেকে নামতে গিয়ে পড়ে যান।’
নিহত শাহের আলীর বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায়।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নির্মাণাধীন হলটির তদারকি কমিটিতে রয়েছেন তিন জন শিক্ষক। কমিটিতে থাকা অধ্যাপক হানিফ আলীর কাছে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি হলের কমিটিতে থাকার ব্যাপারে ‘না’ বলেছিলাম। আমি আর কিছু জানি না। কোনো কাগজও পাইনি।’
আরেক সদস্য অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
Comments