ইস্তাম্বুলে কামাল আতাতুর্কের স্মৃতিস্তম্ভের ওপর এরদোয়ানের মসজিদ উদ্বোধন

তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের প্রাণকেন্দ্র তাকসিম চত্বরে একটি মসজিদ উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ৩০ মিটার উঁচু গম্বুজসহ তাকসিম চত্বরের এই মসজিদটি তুর্কি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের একটি স্মৃতিস্তম্ভের উপরে নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইস্তাম্বুলের তাকসিম চত্বরে কামাল আতাতুর্কের স্মৃতিস্তম্ভের ওপর নির্মিত মসজিদ। ছবি: রয়টার্স

তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের প্রাণকেন্দ্র তাকসিম চত্বরে একটি মসজিদ উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ৩০ মিটার উঁচু গম্বুজসহ তাকসিম চত্বরের এই মসজিদটি তুর্কি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের একটি স্মৃতিস্তম্ভের উপরে নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

আজ শুক্রবার তিন হাজার লোক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মসজিদটির প্রথম জুমার নামাজে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান অংশ নেন।

মসজিদটি নির্মাণ নিয়ে দীর্ঘ এক দশক ধরে আদালতে আইনি লড়াই চলার পাশাপাশি দেশটির নাগরিকদের একাংশ এর বিরোধিতা করে আসছিল। পরে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে এরদোয়ান তার ইসলামপন্থী এ কে পার্টির অধীনে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু করেন।

২০১৩ সালে তাকসিম সংলগ্ন গেজি পার্কে এর নির্মাণ পরিকল্পনা শুরু হলে তখন সরকারবিরোধী ব্যাপক গণবিক্ষোভ দেখা দেয়।

সমালোচকরা বলছেন, অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর কামাল আতাতুর্ক যে ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, মসজিদটি নির্মাণের মাধ্যমে এরদোয়ান তা ধ্বংস করেছেন এবং তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন।

তাকসিমে তুরস্কের ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে কামাল আতাতুর্কের নামে যে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছিল সেটি ধ্বংস করে নতুন এই স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এরদোয়ান ক্ষমতাসীন নেতাদের এক বৈঠকে তার ভাষণে বলেন, ‘বহু বছর ধরে, আমার শৈশব থেকে, তারা বলে আসছে, তুমি এটা করতে পারবে না। তবে, ঈশ্বর আমাদের আমাদের ভাগ্যে (এটার নির্মাণ) লিখে রেখেছেন।’

বছরের পর বছর ধরে ব্যস্ত এই চত্বরটি শহরের সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। সেখানে পুলিশ ও গণতন্ত্রকামীদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে। ১৯৭৭ সালে চত্বরটিতে মে দিবস পালনের সময় পাশের একটি ভবন থেকে গুলি করে ৩৪ জনকে হত্যা করা হয়।

এছাড়া ২০১৩ সালে ওই চত্বর থেকেই এরদোয়ানের শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়। এরপর তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে নয় জন নিহত হন। এরপর থেকে কর্তৃপক্ষ সেখানে আর কোনো ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago