র‌্যাবের মামলায় ‘শিশু বক্তা’ রফিকুলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

রফিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

র‌্যাবের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী গাজীপুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ শুক্রবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সিনিয়র সহকারী কমিশনার শুভাশীষ ধর দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জিএমপি’র সিনিয়র সহকারী কমিশনার শুভাশীষ ধর দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, র‌্যাব-১-এর তদন্ত কর্মকর্তা মহানগরের গাছা থানায় র‌্যাবের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলাম মাদানীকে একদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার মাদানীকে গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ নাজমুন নাহারের আদালতে হাজির করা হয়। রফিকুল ইসলাম মাদানী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানা ছাড়াও বাসন থানা এবং ঢাকার তেজগাঁও থানায় মামলা আছে।

তিনি আরও জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার বোর্ড বাজার কলমেশ্বর এলাকার শীতক কারখানার ভিতর এক মাহফিলে বক্তব্য দেন রফিকুল ইসলাম মাদানী। সেখানে তিনি রাষ্ট্র তথা সরকার বিরোধী ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী উস্কানি ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেন। যা তার নির্দেশে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে তার অনুসারীরা গত ২৬ মার্চ ঢাকা বায়তুল মোকাররম মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতা করে। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটে।

গত ৭ এপ্রিল ভোরে সরকার বিরোধী ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী উস্কানি ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা এলাকার বাড়ি থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা।

ওই দিন রাতেই তাকে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৮ এপ্রিল একটি মামলা দায়ের করেন র‌্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার (ডিএডি) আব্দুল খালেক। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়।

রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটককালে তার কাছ থেকে ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

শুভাশীষ ধর আরও জানান, মাদানীর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা ভীতি প্রদর্শন, তথ্য উপাত্ত ইলেকট্রনিক্স বিন্যাসে প্রকাশ ও সম্প্রচার করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর অপরাধের কথা বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

Comments

The Daily Star  | English

How Chattogram built its economic legacy

Picture a crowded harbour where the salty seabreeze carries whispers of far-off lands, where merchants of all creed and caste haggle over silks and spices, and where towering ships of all varieties – Chinese junks, Arab dhows, and Portuguese carracks – sway gently in the waters of the Bay of Bengal.

12h ago