এটা চাষের জমি নয়, রাস্তা!

সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় কাদা হয়ে যায়। যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহানো মানুষ ওই রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ছবি: সংগৃহীত

সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় কাদা হয়ে যায়। যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহানো মানুষ ওই রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা এ প্রতিবাদ জানান।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বড় কমলাবাড়ি গ্রামের বটতলা মোড় থেকে কমলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে কালিস্থান বাজার পর্যন্ত তিন কিলোমিটার কাচা রাস্তা। জনবহুল এলাকার এ রাস্তা দিয়ে হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন।

লালমনিরহাট জেলায় সবচেয়ে বেশি সবজি চাষা হয় কমলাবাড়ি এলাকায়। এই সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে। সবজি চাষাবাদ করেই সংসার চালান এই এলাকার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ।

বহুল ব্যবহৃত এই তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকা করতে দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন এ অঞ্চলের মানুষ। কিন্তু তারা দাবির প্রেক্ষিতে প্রতিশ্রুতি পেলেও পাননি পাকা রাস্তা। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে রাস্তাটি।

স্থানীয় শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত তো দূরের কথা, বাজার বা স্কুল-কলেজেও যাওয়া যায় না। বর্ষাকালে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বারবার রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানিয়ে কাজ না হওয়ায় রাস্তার কাদায় ধানের চারা লাগিয়ে আমাদের এই প্রতিবাদ।’

স্থানীয় কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘রাস্তাটি কর্দমাক্ত হওয়ায় বর্ষাকালে এ অঞ্চলের সবজিসহ কৃষিপণ্য পরিবহনে খরচ অনেক বেড়ে যায়। বর্ষাকালে অনেক গাড়ির মালিক এদিকে গাড়ি পাঠাতে চান না।’

স্কুল শিক্ষক আব্দুস সোবহান বলেন, ‘বর্ষাকালে এই রাস্তায় চলাচল করা যায় না। বৃষ্টি হলে গাড়িতে তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটেও চলা যায় না। জনবহুল এই এলাকার এই রাস্তাটি পাকা করা খুবই জরুরি।’

রাস্তাটির দুরবস্থার কথা স্বীকার করে কমলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রাস্তাটি পাকা করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago