এই ১০ পয়েন্ট আগামীতে ভোগাতে পারে!
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জেতা প্রথম দুই ম্যাচেই হয়ে গিয়েছিল। তবু সিরিজ শেষে খচখচানিটা ঠিকই রয়ে গেল বাংলাদেশের। শেষ ম্যাচে বড় হারে ১০ পয়েন্ট হারানোটা আগামীতে ভোগাতে পারে বলে মনে করছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
অনভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের নিয়ে আসা লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই সুপার লিগে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে যায় বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে হারও সেই জায়গা নড়াতে পারছে না।
তবে সুপার লিগের খেলা এখনো শুরুর ধাপে থাকায় সামনে অপেক্ষায় আছে অনেক কিছুর। ঘরের মাঠে আরও কেবল দুটি সিরিজ আছে তামিমদের। তার মধ্যে একটি আবার শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ঘরের বাইরে আছে তিন সিরিজ। ২০২৩ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে সেরা ৮ দলের মধ্যে থাকার চ্যালেঞ্জটা তাই এখনো সরল নয়।
এক ঝাঁক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ছাড়া খেলতে আসা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পুরো ৩০ পয়েন্টই বাংলাদেশের জন্য ধরা হয়েছিল প্রত্যাশিত। শুক্রবার ৯৭ রানে শেষ ম্যাচ হারার পর পর অধিনায়ক তামিম জানালেন আক্ষেপের কথা, ‘এটা ওয়ানডে সুপার লিগ, দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মতো নয় যে দুই ম্যাচে সিরিজ জিতে গেলে অর্জনের কিছু আর নেই। এই ১০ পয়েন্ট ভবিষ্যতে আমাদের কষ্ট দিতেও পারে, কে জানে! সুযোগটা যখন আমাদের ছিল, পুরোটা শেষ করা উচিত ছিল।’
প্রথম দুই ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২৫৭ আর ২৪৬ রান করে ম্যাচ নিজেদের করতে পেরেছিল। কিন্তু শেষ ম্যাচে টস হারায় আমূল বদলে যায় ছবি। লঙ্কানরা আগে ব্যাট করে ২৮৬ রানের পুঁজি পেয়ে যায়। তা তাড়া করতে কখনোই ম্যাচে থাকতে পারেনি বাংলাদেশ।
দিন-রাতের ম্যাচে মিরপুরের উইকেটে পরে ব্যাট করা দলগুলোর জন্য অপেক্ষা করে কঠিন সময়। সিরিজে দুটি টস না জিতলে কী হতে পারত এখন সেটাও ভর করছে দলের মাথায়।
সিরিজ জিতলেও তাই সেরা ক্রিকেটের কাছাকাছি খেলতে না পারার ঘাটতিও পোড়াচ্ছে তামিমদের, ‘প্রথম থেকেই বলছি, আমরা সিরিজ জিতেছি। কিন্তু মনে হয়নি যে খুব ভালো খেলেছি। গত ম্যাচের পর ও আজকের ম্যাচের আগে যা বলেছিলাম, আমরা সিরিজ জিতেছি কিন্তু পরিপূর্ণ একটি ম্যাচ খেলতে পারিনি। সিরিজজুড়ে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি আমরা। সৌভাগ্যবশত আমরা সিরিজ জিতেছি। সিরিজ জয়ের পর বলতে পারি, অনেক জায়গা আছে, যেগুলো নিয়ে আমাদের গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।’
Comments