চাঁপাইনবাবগঞ্জে আজ করোনা শনাক্তের হার কিছুটা কম, ১২ শতাংশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণের হার আপাতত কমলেও স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে আরও কিছুদিন না গেলে পুরো অবস্থা বোঝা যাবে না।
আজ শনিবার ৪৫৩ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়, এদের মধ্যে পজিটিভ এসেছে ৫৪ জনে রিপোর্ট। শনাক্তের হার প্রায় ১২ শতাংশ। গতকাল শুক্রবার ১১৩ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ৩৯ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল প্রায় ৩৫ শতাংশ।
চাঁপাইনবাগঞ্জের সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী দ্য ডেলি স্টারকে জানান, জেলায় করোনা করোনা সংক্রমণ শনাক্তের হার আপাতত কমছে, তবে পুরো অবস্থা বুঝতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
সীমান্তবর্তী এই জেলায় করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে উচ্চ হারে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হতে থাকায় এক সপ্তাহের লকডাউন চলছে।
গত ২৭ মে এই জেলায় অ্যান্টিজেন ও পিসিআর পদ্ধতিতে ১৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া যায়। শনাক্তের হার ছিল প্রায় ৩৭ শতাংশ। গত ২৫ ও ২৬ মে ২৫৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই রিপোর্ট এখনও আসেনি।
সিভিল সার্জন জানান, ঈদের আগে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত ছিল ১৪ শতকরা। ঈদের পরে হয় ১৯ শতাংশ। ১৩ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত সংক্রমনের হার ছিল শতকরা ৩৯ ভাগ। এর পর শনাক্তের হার আরও বেড়ে ২১ মে হয় ৪৯ শতাংশ। যা আরও বেড়ে ২২ মে ৫৫ শতাংশ ও ২৪ মে সর্বোচ্চ ৬২ শতাংশে পৌঁছায়।
এছাড়া তিনি জানান, রাজশাহী ল্যাব থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪২ জনে নমুনা সংগ্রহ করে ঢকায় আইসিডিডিআর,বি ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। এদের মধ্যে সাত জনের নমুনায় ভারতীয় ধরনের করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, ওই সাত জনর মধ্যে পাঁচ জন সদর উপজেলার এবং দুই জন শিবগঞ্জের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জর জেলা প্রশাসক মঞ্জরুল হাফিজ জানান, যে সাত জনের নমুনায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে তাদের বাড়িতে লাল পতাকা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। তাদেরকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, লকডাউন কঠোর থেকে কঠোরতর করা হচ্ছে। প্রতিদিন জেলায় ১২ থেকে ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে।
তিনি জানান, যদি সংক্রমন না কমে তবে লকডাউন আবার বাড়ানো হবে। এ ব্যাপারে আগামী ৩১ মে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
Comments