‘অনুপ্রবেশে সীমান্তবর্তী জেলায় সংক্রমণ বেড়েছে, লকডাউন বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজই’
অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ রোববার দুপুরে ভার্চুয়াল বিফ্রিংয়ে অধিদপ্তরের মুখপাত্র মো. রোবেদ আমিন এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে যেখানে বর্ডার আছে, পাসপোর্ট নিয়ে যারা আসেন তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে। সীমান্তবর্তী স্থানগুলোতে অবৈধভাবেও অনেকে আসে। আমাদের চারদিকেই ভারত। অনেকভাবে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। কিছু কিছু স্থানে এমনও আছে শুধুমাত্র নৌকার মাধ্যমেও যোগাযোগ সম্ভব হয়। যেমন চাঁপাইনবাবগঞ্জ। যেসব জেলায় লোকজন অবৈধভাবে এসেছে, তাদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে।’
রোবেদ আমিন আরও বলেন, ‘ঈদের সময় অনেকে বাড়ি গিয়েছিলেন। তারা ঢাকায় ও অন্যান্য স্থানে ফেরত এসেছেন। তাদের মাধ্যমেও সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে সীমান্তবর্তী সাতটি জেলাকে লকডাউনের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে। জেলাগুলো হলো— নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরা। আজই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
বিফ্রিংয়ে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, ‘এ যাবৎ ২৬৩টি সিকোয়েন্স করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৭টি ইউকে ভ্যারিয়েন্ট, ৮৫টি সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, পাঁচটি নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট এবং ২৩টি ইন্ডিয়ার ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। বি.১.৬.৭ এটি ভারতফেরত এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে পেয়েছি আমরা। এই ভ্যারিয়েন্ট নতুন কোনো বিষয় না। যত রোগী শনাক্ত হবে, সংক্রমণ হবে, নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাবে। সুতরাং ভ্যারিয়েন্ট যা-ই হোক না কেন, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যার যখন সময় আসবে, তাকে টিকা নিতে হবে। এভাবে আমরা সংক্রমণ কমাতে পারবো। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা আমের মৌসুম। আম পচনশীলও। অনেক পরিবার আমের বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। তাই এই মৌসুমে আম কেনা-বেচা করতে হবে। সেক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাগান থেকে আম কেনা-বেচা নিশ্চিত করতে হবে। বাজারজাত করার ক্ষেত্রে স্বল্প পরিসরে খোলা জায়গায় বিক্রি করতে হবে। অনলাইন শপিংয়ে মাধ্যমে আম কেনা-বেচা নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন:
Comments