রিয়ালের খেলোয়াড় হওয়ার সব গুণ রয়েছে এমবাপের: বেনজেমা
মাঠে এখনও একত্রে নামা হয়ে ওঠেনি। তবে মাঠের বাইরে জমে উঠেছে করিম বেনজেমা ও কিলিয়ান এমবাপের রসায়ন। অনুশীলনে প্রায় সবসময়ই তাদের একত্রে দেখা যায়। একে অপরের প্রশংসাতেও মাতছেন এ দুই তারকা। তাতে এমবাপের রিয়াল মাদ্রিদে আসার গুঞ্জন বাড়ছে দিন দিন। আর রিয়ালে খেলার মতো সব গুণই এ তরুণের মধ্যে রয়েছে বলে মানেন বেনজেমা।
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো রিয়াল ছাড়ার পর থেকেই ক্লাবকে প্রায় একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন বেনজেমা। চলতি মৌসুমে শিরোপাশূন্য থাকলেও গত মৌসুমে তার নৈপুণ্যেই লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছিল দলটি। গত কয়েক মৌসুম ধরে রিয়ালের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। চলতি মৌসুমে তো আরও দুর্দান্ত। যে কারণে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখে ছয় বছর পর তাকে দলে নিয়ে বাধ্য হন ফ্রান্স দলের কোচ দিদিয়ের দেশম।
আর জাতীয় দলের ক্যাম্পে পূর্ণোদ্দমে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন বেনজেমা। যেখানে তার সতীর্থ এমবাপে। আগের দিনও বেনজেমার সঙ্গে অনুশীলন করার ছবি এমবাপে আপলোড দিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে। এর আগেও দিয়েছিলেন। দিয়েছিলেন বেনজেমাও। তাতে স্পষ্ট দুই জনের ভাবটা বেশ ভালোই হয়েছে।
সবমিলিয়ে তাই এমবাপের রিয়ালে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন চড়া। সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবেই এ প্রশ্ন রাখা হয় বেনজেমার কাছে। এ রিয়াল তারকার উত্তর, 'এমবাপে রিয়েলে আসবে কি-না? দেখা যাক কী হয়, তবে যে কোনও ক্ষেত্রেই তাকে মাদ্রিদে স্বাগতম। রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় হওয়ার মতো সমস্ত গুণ তার মধ্যে রয়েছে। আমি আশা করি একদিন (রিয়ালে খেলবে)।'
২০১৫ সালের অক্টোবরে শেষবার জাতীয় দলে খেলেছেন বেনজেমা। সেই ম্যাচে জোড়া গোলের পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্টও করেছিলেন তিনি। সে সময় সতীর্থ ম্যাথিউ ভালবুয়েনা একটি সেক্স টেপ করে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ ওঠে বেনজেমার বিরুদ্ধে। সে ঘটনার মামলা এখনও চলমান। সে অভিযোগ ওঠার পর থেকেই জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন এ ফরোয়ার্ড।
লম্বা সময় পর ফিরেই সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে। তাকে প্রশংসায় ভাসিয়ে বেনজেমার আরও বলেন, 'সে এখনও তরুণ একজন খেলোয়াড়, একজন ফেনোমেনন। আমি ইতোমধ্যেই তার সাথে একত্রে অনুশীলন করেছি। আমরা এক টাচে খেলি, তার মুভমেন্ট খুব ভালো, তার প্রচুর গতি আছে এবং গোলের সামনে তার দক্ষতা অসাধারণ। সে খুব খুবই ভালো একজন খেলোয়াড়।'
২০১৭ সালের মোনাকো থেকে ধারে পিএসজিতে যোগ দেন এমবাপে। পরের বছর ১৩০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে তাকে পাকাপাকিভাবে কিনে নেয় দলটি। ২০১৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের জয়ের অন্যতম প্রধান নায়ক ছিলেন এ তরুণ। তখন থেকেই তাকে পেতে মুখিয়ে রয়েছে রিয়াল।
Comments