পটুয়াখালী

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ৬টি সেতু-কালভার্টসহ ৭২৭ কি.মি. গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নির্মাণাধীন সেতু। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পটুয়াখালীতে ৩টি সেতু, ৩টি কালভার্টসহ ৭২৭.৮১ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব সড়ক ও গ্রামীণ অবকাঠামো মেরামতে প্রয়োজন ৯৫ কোটি টাকা।

আজ সোমবার পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী যুগল চন্দ্র মণ্ডল দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি চিহ্নিত করে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত করতে ৯৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে।

তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫৬.১৪ কিলোমিটার, বাউফলে ২২১.২৪ কিলোমিটার, দশমিনায় ২৬.৪৮ কিলোমিটার, গলাচিপায় ১৬৯.৭২ কিলোমিটার, দুমকিতে ৩১.৬৪ কিলোমিটার, মির্জাগঞ্জে ৫০.৬০ কিলোমিটার এবং রাঙ্গাবালীতে ৭১.৯৯ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এছাড়াও, সদর উপজেলা নদ-নদীর বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে বাঁধের ওপর নির্মিত ৩১.১০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নদীতে মিশে গেছে বলেন জানান তিনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ও শ্রীরামপুর ইউনিয়ন বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে একটি ছোট নদী। খরস্রোতা এই শাখা নদীটি মুরাদিয়া শাখা নদী নামে পরিচিত। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ওই নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২৪ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থের এই সেতুটি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় দুই কোটি টাকা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতু নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে ছোট ওই নদীর দুই দিকে বাঁধ দিয়ে দেয়। এর পর সেতুর দুই পাড়ের অবকাঠামো নির্মাণ শেষ করে মূল সেতু নির্মাণ শুরু করে। দুই পাশে বাঁধ দেওয়া স্থানের মাটি ফেলে ভরাট করে সেতুর নির্মাণে সেন্টারিং-এর কাজও শেষ করেছে। এখন শুধু আরসিসি ঢালাইয়ের অপেক্ষা। কিন্তু, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে নদ-নদীর জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে দুই পাশের বাঁধের মাটি সরে গিয়ে পানির চাপে নির্মাণাধীন সেতুর অবকাঠামো (সেন্টারিং ও ওপরে বাঁধানো রড) ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে।

এছাড়াও, জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট এলাকার সড়কও নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। এই সড়কটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।

একইসঙ্গে দুমকি উপজেলার তিনটি ইউপি কার্যালয় ও চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi migrants workers rights in Malaysia

Malaysia agrees to recruit 'large number' of Bangladeshi workers

Assurance will be given to ensure their wages, safety, and overall welfare, according to ministry officials

1h ago