রৌমারীতে কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়ল আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪ ঘর

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়েছে চারটি ঘর। রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা বগারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়া চারটি ঘরের একটি। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়েছে চারটি ঘর। রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা বগারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার সকালে ঘরগুলোকে ভেঙে পড়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা প্রশাসনকে জানায়।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান আজ সোমবার বিকেলে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যে ঘরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো মেরামত করে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে।'

মাটি দেবে যাওয়ার কারণে এমন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তবে, স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় ঘর ভেঙে পড়েছে।

রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে 'ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন প্রকল্পের (আশ্রয়ণ প্রকল্প-২) আওতায় দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নে ৩৫টি পরিবারকে এ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। প্রথম ধাপে নয়টি ঘর দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ছিল এক লাখ ৭১ হাজার টাকা।

দ্বিতীয় ধাপে ২৬টি ঘর দেওয়া হয়েছে। এগুলোর প্রতিটির নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে নয়টি ঘর নির্মাণ শেষে সুবিধাভোগীদের হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিগুলোর কাজ চলছে।

সুবিধাভোগী শাহাজামাল মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, জমি নিচু এবং বালু মাটি হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরের নিচের মাটি ধ্বসে গিয়ে চারটি ঘর ভেঙে পড়েছে। এভাবে ঘর ভেঙে পড়লে তাদেরকে বিপদে পড়তে হবে।

আরেক সুবিধাভোগী ফুলো রানী জানান, যে পরিমাণে সিমেন্ট দেওয়ার কথা সে পরিমাণে সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণে ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ ভালো হচ্ছে না।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago