চীনের সিনোভ্যাকের টিকা জরুরি অনুমোদন দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

চীনের সিনোভ্যাকের টিকা দেখাচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার এক স্বাস্থ্যকর্মী। ফাইল ফটো রয়টার্স

জরুরি ব্যবহারের জন্য চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেকের তৈরি করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এটি ডব্লিউএইচওর অনুমোদন পাওয়া চীনের তৈরি দ্বিতীয় টিকা। এর আগে ডব্লিউএইচও চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের করোনা টিকার অনুমোদন দেয়।

রয়টার্স জানায়, ডব্লিউএইচওর অনুমোদন মূলত টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে জাতীয় নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের জন্য সবুজ সংকেত। এর মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলোতে ভ্যাকসিন সরবরাহের কর্মসূচি কোভ্যাক্সে এই টিকার অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন পাওয়া যাবে। ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বর্তমানে সরবরাহ নিয়ে কর্মসূচিটি বড় ধরনের সমস্যার মুখে পড়েছে।

মঙ্গলবার ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞদের ওই স্বতন্ত্র প্যানেল এক বিবৃতিতে জানায়, ১৮ বছরের বেশি বয়স্কদের সিনোভ্যাকের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার দুই থেকে চার সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। তবে সর্বোচ্চ কত বছর বয়সীরা এই টিকা দিতে পারবেন তা জানানো হয়নি। সিনোভ্যাকের টিকার ডেটা থেকে জানা গেছে যে, ভ্যাকসিনটি বয়স্কদের ক্ষেত্রেও বেশ কার্যকর।

গত ৫ মে থেকে সিনোভ্যাকের টিকা নিয়ে পর্যালোচনা শুরু হয়। আজ মঙ্গলবার ডব্লিউএইচওর প্রযুক্তিগত পরামর্শ গ্রুপ সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা এবং সংস্থার উত্পাদন পদ্ধতি সম্পর্কে সর্বশেষ ক্লিনিকাল তথ্য পর্যালোচনা করে এই ঘোষণা দিয়েছে।

এ ছাড়া, চীনা প্রতিষ্ঠান ক্যানসিনো বায়োলজিকস উত্পাদিত তৃতীয় আরেকটি টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল ডেটা ডব্লিউএইচও’র কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ডব্লিউএইচও এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি।

সিনোভ্যাক জানায়, মে-এর শেষ পর্যন্ত সংস্থাটি চীন ও অন্যান্য দেশে ৬০ কোটির বেশি ডোজ সরবরাহ করা হয়েছে এবং ৪৩ কোটিরও বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে।

ডব্লিউএইচও জানায়, ভ্যাকসিন কার্যকারিতার ফলাফলে দেখা গেছে,  এই ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের মধ্যে ৫১ শতাংশের উপসর্গজনিত অসুস্থতা কমেছে। যাদের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছিল তাদের মধ্যে কারোই কোভিড-১৯ এ গুরুতর অসুস্থতা দেখা যায়নি কিংবা কাউকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি।  

ডব্লিউএইচও’র পৃথক সংস্থা স্ট্রাটেজিক অ্যাডভাইসরি গ্রুপ (সেজ) এর আগে এক পর্যালোচনা নথিতে জানায়, বহু দেশে তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল পরীক্ষায় ভ্যাকসিন কার্যকারিতা ৫১ শতাংশ থেকে ৮৪ শতাংশ পর্যন্ত দেখা গেছে।

গত ১২ মে ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দেশটিতে যে এক লাখ ২০ হাজার স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এই ভ্যাকসিন পেয়েছিলেন তাদের পরীক্ষা করে গেছে যে, উপসর্গজনিত অসুস্থতা প্রতিরোধে এটি ৯৪ শতাংশ কার্যকর ছিল।

চীন ইতিমধ্যে সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক এই দুই ভ্যাকসিনের কয়েক মিলিয়ন ডোজ তৈরি করেছে এগুলো অনেক দেশ বিশেষত লাতিন আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকাতে রপ্তানিও শুরু হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

7h ago