মুমিনুল-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ম্লান আশরাফুল
দারুণ শুরুর পরও ইনিংসটা বড় করতে পারেননি মোহাম্মদ আশরাফুল। তবু তার ব্যাটে ভিত করেই মাঝারি পুঁজি পেয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি। মুমিনুল হক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দুই ফিফটিতে সেই রান পেরিয়ে অনায়াসে জিতেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে শেখ জামালকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ। আশরাফুলের ৩৫ বলে ৪১ রানে শেখ জামাল করেছিল ১৫১ রান। ৭ বল বাকি থাকতে ওই রান পেরিয়ে যায় গাজী।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলকে জিতিয়ে ৫১ বলে ৬২ করে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৫৪ রান। বোলিংয়েও অবদান (২৩ রানে ২ উইকেট) রাখায় ম্যাচ সেরা হয়েছেন মাহমুদউল্লাহই।
টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে জিতেছিল শেখ জামাল। প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে এসে জয় পেল শিরোপা প্রত্যাশি গাজী।
১৫২ রানের লক্ষ্যে নেমে ওপেনিংয়ে ভালো শুরু আসেনি। শাহাদাত হোসেন দিপু ১১ বলে ১৩ করে আউট হয়ে যান। সৌম্য সরকারও পেয়েছিলেন শুরু। কিন্তু আগের ম্যাচের মতো সেই শুরুটা একদম নষ্ট করেছেন রিভার্স সুইপে বোল্ড হয়ে।
৪০ রানে ২ উইকেট হারানো গাজী এরপর আর পেছনে তাকায়নি। ডাম-বাম সমন্বয়ে দারুণ জুটি পান মুমিনুল-মাহমুদউল্লাহ। শুরুতে থিতু হতে একটু সময় নিয়েছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। অপর দিকে শুরু থেকেই সাবলীল ছিল মুমিনুলের পথচলা।
আগ্রাসী মেজাজ নিয়ে নামা বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়কই রানের গতি রাখেন স্বাভাবিক। তাতে জয়ের কাছে চলে যায় তাদের দল। তৃতীয় উইকেটে দুজনের জুটিতে আসে ৯৭ রান। দলের জয়ের একদম কাছে গিয়ে ৩৬ বলে ৫৪ করে আউট হন মুমিনুল। ৩৪ বলে ফিফটি করা এই বাঁহাতি মেরেছেন ৮ বাউন্ডারি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে আশরাফুলের নৈপুণ্যে ভালো শুরু পায় শেখ জামাল। সৈকত আলিকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬৯ রান। যাতে সৈকতের অবদান ৩৩। সৈকত ফিরে যাওয়ার পরও আশরাফুল দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। ৪ ছক্কায় চল্লিশ পেরিয়ে যান তিনি।
তবে ছক্কা বাদ দিলে খেলেছেন অনেক ডটবল। শুরুতে ৯ বলেই গিয়েছিলেন ২০ রানে। পরে হয়ে যান মন্থর। দ্বাদশ ওভারের শেষ বলে দলের ৯৯ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩৫ বলে ৪১ করা আশরাফুল। এরপর কিছুটা যেন পথ হারায় তার দল।
শেষে জিয়াউর রহমানের ১৬ বলে ২১ রানে দেড়শো পেরুতে পারে তারা। গাজীকে আটকাতে সেই রান অবশ্য যথেষ্ট হলো না।
Comments