সাতক্ষীরায় একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত ৫৩.১৯ শতাংশ

corona_detected.jpg
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সাতক্ষীরা করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণের হার ৫৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। যা এ জেলায় সর্বোচ্চ শনাক্তের হার। এর আগে মঙ্গলবার থেকে বুধবার এই ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ৩১ দশমিক ১৮ শতাংশ।

এছাড়া, করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একদিনে আরও তিন জন মারা গেছেন। এনিয়ে গত চার দিনে মারা গেল ১০ জন।

আজ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শতকরা হারে ৫৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। ঈদের আগের সপ্তাহে সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমণের হার ছিল ১৩ ভাগ। ঈদের পর তা বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে এসে দাঁড়িয়ে শতকরা ৪১ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, সাতক্ষীরায় এ পর্যন্ত করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২২২ জন ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৭ জন।

করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও তিন জনের মৃত্যু

করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নয় ঘণ্টার ব্যবধানে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত চারদিনে করোনা উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হলো। করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন ২২২ জন।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত-ই-খোদা তিন জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।

ভারত থেকে দেশে প্রবেশের সময় ২ বাংলাদেশি আটক

সাতক্ষীরার ভোমরা ও তলুইগাছা সীমান্তে টহল দেওয়ার দুইজন বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিজিবি। তারা অবৈধপথে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল।

সাতক্ষীরা বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, আটক দু’জনকে কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ও অপর জনকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পদ্মশাখরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত কোয়ারিন্টিন সেন্টারে ১৪ দিন রাখা হবে। তারপর তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাতক্ষীরা বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আল মাহমুদ দু’জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমান করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কলারোয়া থানাধীন সীমান্ত এলাকার সোনাই নদীতে মাছ ধরা, গোসল করা ও সন্ধ্যা সাতটার পরে জনসাধারণের অবাধ চলাফেরা ও দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে।

Comments