কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচে লড়বে ব্রাজিল-ভেনেজুয়েলা
![brazil brazil](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/2019-07-07t224630z_225276000_rc1603dc4580_rtrmadp_3_soccer-copa-bra-per.jpg?itok=RFRqZ3NA×tamp=1564729169)
চূড়ান্ত হয়েছে ২০২১ কোপা আমেরিকার সূচি। নির্ধারিত সময়েই আয়োজিত হবে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসরটি। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল মুখোমুখি হবে ভেনেজুয়েলার।
বুধবার এক বিবৃতিতে কোপা আমেরিকার পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছে মহাদেশটির সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল।
উদ্বোধনী ম্যাচ হবে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ সময় অনুসারে আগামী ১৪ জুন রাত তিনটায় পরস্পরকে মোকাবিলা করবে ব্রাজিল ও ভেনেজুয়েলা। ১১ জুলাই ফাইনাল হবে বিখ্যাত মারকানা স্টেডিয়ামে। গতবার এই মাঠেই পেরুকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আয়োজক সেলেসাওরা।
গত সোমবার কোপা আমেরিকার আয়োজক হিসেবে ঘোষণা করা হয় ব্রাজিলের নাম। মূলত, আসরটি আয়োজন করার কথা ছিল কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার। প্রতিযোগিতাটির ১০৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো যৌথভাবে আয়োজন করার পরিকল্পনা অবশ্য ভেস্তে গেছে। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাদ পড়ে কলম্বিয়া। আর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শেষ মুহূর্তে আর্জেন্টিনাকেও ছেঁটে ফেলা হয়।
আসরের প্রথম সেমিফাইনাল হবে আগামী ৫ জুলাই নিলতন সান্তোস স্টেডিয়ামে। পরদিন গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে হবে দ্বিতীয় সেমি। রিও ও ব্রাসিলিয়া শহরে হবে সর্বোচ্চ আটটি করে ম্যাচ। মারাকানায় গড়াবে কেবল ফাইনাল। বৈশ্বিক মহামারির কারণে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সবগুলো ম্যাচ।
‘বি’ গ্রুপে ফেভারিট ব্রাজিলের বাকি প্রতিপক্ষরা হলো পেরু, কলম্বিয়া ও ইকুয়েডর। আরেক শিরোপাপ্রত্যাশী আর্জেন্টিনা তাদের কোপা আমেরিকা অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ সময় অনুসারে আগামী ১৫ জুন। ‘এ’ গ্রুপে চিলির মুখোমুখি হওয়ার পর আলবিসেলেস্তেরা একে একে খেলবে উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে ও বলিভিয়ার বিপক্ষে।
উল্লেখ্য, কোপা আমেরিকা ব্রাজিলে সরিয়ে নেওয়া নিয়ে প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা চলছে। কারণ, দেশটির করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ।
বৃহস্পতিবার জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার জানিয়েছে, বিশ্বে মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় ও সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার ৮১ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭০৬ জন।
Comments