ইন্টারে কন্তের উত্তরসূরি সিমোনে

ইতালিয়ান সিরি আর বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা তার সঙ্গে চুক্তি করেছে দুই বছরের জন্য।
inzaghi simone
ছবি: রয়টার্স

গুঞ্জন পাখা মেলেছিল গত সপ্তাহে। একদিকে ইন্টার মিলানের কোচের পদ থেকে আন্তোনিও কন্তে সরে দাঁড়ান। অন্যদিকে লাৎসিওকে বিদায় বলে দেন সিমোনে ইনজাগি। এরপর থেকেই ইন্টারের সম্ভাব্য নতুন কোচ হিসেবে শোনা যাচ্ছিল তার নাম। অবশেষে এসেছে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। ইনজাগিকে নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে নেরাজ্জুরিরা।

বৃহস্পতিবার নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়ে ইনজাগিকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইন্টার। ইতালিয়ান সিরি আর বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা তার সঙ্গে চুক্তি করেছে দুই বছরের জন্য।

তারকা কোচ কন্তে দুই মৌসুম ছিলেন ইন্টারের দায়িত্বে। ২০১৯-২০ মৌসুমে কোচ হয়ে তাদেরকে উয়েফা ইউরোপা লিগের ফাইনালে তোলেন তিনি। সেভিয়ার কাছে হেরে সান সিরোর ক্লাবটি হয় রানার্স-আপ। আর সবশেষ ২০২০-২১ মৌসুমে ইন্টার ঘরে তোলে সিরি আর শিরোপা। তবে ১১ বছর পর তাদেরকে লিগ চ্যাম্পিয়ন বানালেও পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে বিদায় নেন কন্তে।

লাৎসিওর সঙ্গে দীর্ঘ ২২ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনেছেন ইনজাগি। ১৯৯৯ সালে ক্লাবটিতে খেলোয়াড় হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ইতালির সাবেক এই স্ট্রাইকার। ২০১০ সালে পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানানো পর্যন্ত লাৎসিওতেই খেলেন তিনি। ক্লাবটির হয়ে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমের সিরি আসহ তিনি জেতেন মোট সাতটি শিরোপা।

বুট জোড়া তুলে রাখার পরপরই লাৎসিওর বয়সভিত্তিক দলের কোচ হন ইনজাগি। মূল দলের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয় ২০১৬ সালের এপ্রিলে। পাঁচ মৌসুম দায়িত্বে থেকে তাদেরকে তিনটি শিরোপার স্বাদ পাইয়ে দেন তিনি। ৪৫ বছর বয়সী ইনজাগির অধীনে ২৫১ ম্যাচে অংশ নেয় লাৎসিও। ১৩৪ জয় ও ৪৫ ড্রয়ের পাশাপাশি ৭২ ম্যাচে হারে তারা। সবশেষে মৌসুমের সিরি আতে তারা হয় ষষ্ঠ।

ইনজাগি এমন এক সময়ে ইন্টারের দায়িত্ব নিচ্ছেন, যখন ক্লাবটি রয়েছে আর্থিক দুর্দশায়। ইতালিয়ান গণমাধ্যমের খবর, আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্যের জন্য তাদেরকে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বিক্রি করতে হবে। কন্তের সরে দাঁড়ানোর কারণও এটি। সেসময় গণমাধ্যম জানিয়েছিল, ইন্টারের খরচ কমানোর পরিকল্পনার সঙ্গে একমত হতে না পারায় পদত্যাগ করেন কন্তে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago