মে মাসে রপ্তানি আয় বেড়ে দ্বিগুণ, ৩.১১ বিলিয়ন ডলার
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/ctg_port_.jpg?itok=1sITzZQt×tamp=1601997054)
গত বছরের মে মাসের তুলনায় এ বছরের মে মাসে রপ্তানি আয় প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা থেকে গত মাসে রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৩ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
করোনা মহামারির প্রথম ধাক্কায় গত বছরের মে মাসে রপ্তানি আয়ে বড় ধরনের ধস নেমেছিল। ওই মাসে রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ১ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য যা এক দশকের মধ্যে ছিল দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরের ১১ মাসে গার্মেন্টস খাত থেকে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ২৮ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ১ শতাংশ। বাংলাদেশের জাতীয় রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশই আসে এই খাত থেকে।
গার্মেন্টস পণ্যের মধ্যে নিটওয়্যার রপ্তানি থেকে এসেছে ১৫ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। আর ওভেন পণ্য থেকে আয় এসেছে ১৩ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। এই দুই ধরনের পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ২০ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও ১ দশমিক ৮০ শতাংশ।
এই সময়ের মধ্যে পাট ও চামড়া পণ্য রপ্তানিতেও বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। ৩৩ দশমিক ২৩ শতাংশ রপ্তানি বেড়ে পাট পণ্য থেকে আয় হয়েছে ১ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে চামড়া রপ্তানি ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়ে আয় এসেছে ৮৪৬ দশমিক ০৮ মিলিয়ন ডলার।
এর বাইরে হিমায়িত খাদ্য ও মাছ থেকে আয় হয়েছে ৪৩০ মিলিয়ন ডলার। কৃষিপণ্য থেকে ৯০৫ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য থেকে আয় হয়েছে ১৪৫ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন ডলার। এই তিন ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ, ১৬ দশমিক ১৩ শতাংশ ও ১৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
সার্বিকভাবে জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ রপ্তানি বেড়ে আয় এসেছে ৩৫ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার।
Comments