চিলির সঙ্গে ড্র করেও খুশি মেসি

এগিয়ে গিয়েও চিলির বিপক্ষে জয় পায়নি আর্জেন্টিনা। ড্র মেনেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। হোম ম্যাচে হোঁচট খাওয়া নিশ্চিতভাবেই ভালো সংবাদ নয় দলটির জন্য। কিন্তু তারপরও ফলাফলে সন্তুষ্ট অধিনায়ক লিওনেল মেসি। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলের ক্যাম্পে এসে অল্প সময়ের প্রস্তুতির পর এমন ফলাফলে হতাশার কিছু দেখছেন না এ বার্সেলোনা তারকা।

শুক্রবার সকালে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে সান্তিয়াগো দেল এস্ত্রোর ইউনিক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনাকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে চিলি। দুটি গোলই হয় ম্যাচের প্রথমার্ধে। ২৩তম মিনিটে মেসির সফল স্পটকিক থেকে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। তবে ৩৬তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান আলেক্সিস সানচেজ।

তবে শেষ দিকে চিলি শিবিরে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল আর্জেন্টিনা। বেশ কিছু সহজ সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু গোলবারে ক্লাদিও ব্রাভো ছিলেন দুর্দান্ত। অসাধারণ কিছু সেভ করে দলকে রক্ষা করেন তিনি। দুর্ভাগাও ছিল দলটি। ৮০তম মিনিটে মেসির ফ্রিকিক ফিরে আসে বারপোস্টে লেগে। 

ম্যাচ শেষে টিওয়াইসি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, 'অনেক দিন হয়ে গেছে আমরা একসঙ্গে নেই। এমনকি বাছাই পর্বও খেলিনি। একত্রে এতো স্বল্প সময়ের প্রস্তুতিতে কাজটা সহজ নয়, তারপরও আমরা যা করেছি তাতে আমার মনে হয় ভালো করেছি। একটা সময় আমরা খুব ভালো ফুটবল খেলেছি, অনেক চাপ সৃষ্টি করেছি এবং বল পুনরুদ্ধার করেছি।'

'কার্যত তারা আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি। আমাদের দুর্ভাগ্য তারা খুব একটা সুযোগ না পেয়েও গোল করেছে। চিলির বিপক্ষে খেলা সবসময়ই কঠিন। যদিও জিততে পারিনি তারপরও আমি দলের ফলাফলে খুশি।' -যোগ করেন মেসি।

এদিন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, ক্রিস্টিয়ান রোমেরোদের মতো বেশ কিছু খেলোয়াড়ের অভিষেক হয়েছে জাতীয় দলে। তাই দলের ভবিষ্যৎ নিয়েও আশাবাদী মেসি, 'যেহেতু কোয়ালিফায়ার শুরু হয়েছে, আমরা উন্নতি করছি, আমাদের আবার দলে বেশি কিছু নতুন নতুন ছেলে রয়েছে, অল্প অল্প করেই আমাদের আরও শক্তিশালী হতে হবে, দলের গতিশীলতা ভালো।'

আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা মারা যাওয়ার পর এটাই প্রথম ম্যাচে তাদের। এছাড়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আর্জেন্টিনার সার্বিক পরিস্থিতিও ভালো নেই। যে কারণে কোপা আমেরিকার আসরের আয়োজক হওয়া থেকে বাদ পড়েছে দেশটি। সব মিলিয়ে এটা তাদের বিশেষ ম্যাচ বলেই জানালেন মেসি।

'অবশ্যই এটা আমাদের জন্য বিশেষ ম্যাচ। কারণ এটি ডিয়েগো (ম্যারাডোনা) ব্যতীত এটাই প্রথম ছিল। আমরা জানি জাতীয় দল তার জন্য কী ছিল, স্টেডিয়ামে উপস্থিত না থাকলেও তিনি সর্বদা জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন। এটা আরেক দিকেও বিশেষ ম্যাচ কারণ দেশের যা ঘটে যাচ্ছে তা নিয়ে বিশ্বের সবার জন্য অত্যন্ত কঠিন একটি পরিস্থিতি। দুঃখের বিষয় যে এত সুন্দর স্টেডিয়ামে দর্শক উপস্থিত হতে পারছে না। আমি মনে এই প্রথমবার জাতীয় দলের খেলায় কোনো দর্শক এবং এটা লজ্জাজনক। তবে এখন বেঁচে থাকার সময়।'