কোপা আমেরিকায় খেলতে চান না ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা
করোনাভাইরাস ক্রমেই ভয়ানক হয়ে উঠছে লাতিন আমেরিকায়। বিশেষ করে ব্রাজিলের অবস্থা ভয়াবহ। ঠিক এ সময়েই নিজ দেশে কোপা আমেরিকার আসর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। কিন্তু এ আসরে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে আগ্রহী নন ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা। এমন সংবাদই প্রকাশ পেয়েছে ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যমে।
এবার কোপা আমেরিকা অবশ্য শুরুতে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে দুটি দেশই আয়োজকের তালিকা থেকে বাদ পড়ে। নতুন স্বাগতিক দেশ হিসেবে ব্রাজিলের নাম ঘোষণা করে কনমেবল। তখন থেকেই অনেকেই এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন। ব্রাজিলিয়ান রেডিও গাউচোর সংবাদ অনুযায়ী, এ তালিকায় আছেন বেশ কিছু খেলোয়াড়ও। মূলত ইউরোপে খেলা ফুটবলারই বিরোধিতা করছেন বলে জানায় রেডিওটি।
আর এ সংবাদ যে সত্যি তার প্রমাণ মিলেছে ব্রাজিলিয়ান কোচ তিতের সংবাদ সম্মেলনে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কোচ বলেন, 'তাদের (খেলোয়াড়দের) নিজের মতামত থাকতেই পারে। তারা এটা প্রেসিডেন্টকে ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে। পরে তারা জনগণের কাছেও এটা প্রকাশ করবে। এ কারণেই আমাদের অধিনায়ক কাসেমিরো এখানে আসেনি।'
তবে আপাতত বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব নিয়ে ভাবছেন তারা। এরপরই নিজেদের অবস্থা জানাবেন বলে জানান তিতে, 'এটা খুব স্পষ্ট এবং প্রত্যক্ষ কথোপকথন। শুরু থেকে খেলোয়াড়দের অবস্থানও স্পষ্ট ছিল। আমাদেরও অবস্থান রয়েছে তবে আমরা এখন তাতে অংশ নিতে যাচ্ছি না। এখন আমাদের ম্যাচে অগ্রাধিকার দিতে হবে যাতে ইকুয়েডরের বিপক্ষে জিততে পারি। আন্তর্জাতিক বিরতির পর আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করা হবে।'
এদিকে ব্রাজিলের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবো এস্পোর্তের মতে,জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে এরমধ্যেই আলোচনা হয়েছে তিতের। সেখানে অন্যান্য কোচিং কর্মীসহ অধিকাংশই ব্রাজিলে এ আসর আয়োজনের বিপক্ষে। উল্লেখ্য, আগামী ১৪ জুন ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে ব্রাজিলের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এ মহাদেশীয় আসর।
তবে এ পরিস্থিতিতে কিছুটা ঝামেলায় পড়েছেন তিতে। খেলোয়াড়দের মনোযোগ নষ্ট হতে পারে বলে ধারণা তার, 'মাঠে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, দেখতে হবে কীভাবে প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠা যায় এবং কোনটা আগে তা বুঝতে হবে। ফোকাস নষ্ট হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ভালো একটি ম্যাচ খেলে প্রাপ্য ফলাফল আদায় করতে হবে।'
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় পৌনে ৫ লাখ ব্রাজিলে। তার উপর চলতি মাসের শেষ দিকে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানতে পারে ধারণা করছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
Comments